মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: বাঁশখালী পৌরসভার এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা অভিযুক্ত ধর্ষককে গনধোলাই শেষে থানায় হস্তান্তরের খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে ৮ টার দিকে পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে জঙ্গল জলদী ঝারকাটা এলাকার শাহ অলি উল্লাহ হেফজখানা মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শিশুটির মাতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা যায়। ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ হাফেজ জমির (৩২) কে স্থানীয়রা গণপিটুনি দিয়ে বাঁশখালী পৌরসভা কার্যালয়ে আনা হয়। পরবর্তীতে পৌর কর্তৃপক্ষ তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানা পুলিশকে খবর দিলে বাঁশখালী থানা সেকেন্ড অফিসারের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে পৌর কার্যালয় থেকে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। অভিযুক্ত শিক্ষক বাঁশখালী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের ভাদালিয়া এলাকার মোঃ লেদুর পুত্র।
শিশুটির মা কাজলী বেগম জানান, ‘আমার মেয়ে শিশুটি স্থানীয় শাহ অলি উল্লাহ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্রী। বিগত ৮ -১০ দিন যাবৎ আমার মেয়ে মাদ্রাসার শিক্ষকের কাছে পড়তে যেতে চাইত না, আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে বিস্তারিত জানতে পারি, মেয়ে আমাকে জানায় তাকে পূর্বে আরো ২ বার অভিযুক্ত শিক্ষক তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক করেছে, আমি আমার মেয়ে ছোট বিধায় চক্ষু লজ্জায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলাম এবং সামনে উক্ত মাদ্রাসার সভা শেষে ওই শিক্ষকের বাড়ীতে গিয়ে তার বউ বাচ্চাদেরকে বিচার দেওয়ার জন্য চেয়েছিলাম, কিন্তু সে গতকাল পুনারায় আমার মেয়েকে ধর্ষন করে। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায়। সকালে মেয়েকে হেফজখানায় যেতে বললে সে যেতে চাইনি বিধায় তাকে মারধর করলাম, পরবর্তীতে মেয়ে আমাকে বিষয়টি ভেঙ্গে বললে আমি তাৎক্ষনিক মাদ্রাসায় গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে পালিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয়রা তাকে ধরে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পৌর কার্যালয়ে খবর দিলে পৌরসভার চৌকিদাররা তাকে পৌরসভায় নিয়ে যায়। আমি অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
অভিযুক্ত শিক্ষক জমির বলেন,আমি এই রকম কোন ঘটনা করিনি। মেয়ে মামা আব্বাছের কাছ থেকে আমি টাকা পাই, টাকা দিতে না চাইলে তার সাথে আমার ঝগড়া বিরোধ সৃষ্টি হয়। তারই আমাকে মিথ্যা অভিযোগে মারধর করেছে।
বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব সেলিমুল হক চৌধুরী ও মহিলা কাউন্সিলর রোজিয়া সোলতানা রুজি বলেন, ঘটনা শুনার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে পৌরসভায় নিয়ে আসি। ভিকটিম এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের কথা দুই ধরনের হওয়ায় আমরা তাকে বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করি। কারন ধর্ষণের বিচার করা নিয়ম বহির্ভুত।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার জানান, ‘আমরা ভিকটিম এবং তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক আটক রয়েছেন।