আবু ওবাইদা আরাফাত: ঢাকা বইমেলার পাশাপাশি এবার পুরোদমে জমে উঠেছে চট্টগ্রামের বইমেলা। গত ১৫ তারিখ হতে নগরীর মুসলিম হলে শুরু হওয়া এই মেলায় ৫০ টির অধিক প্রকাশনার স্টল রয়েছে। সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের ব্যবস্থাপনায় এই বইমেলা আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে।
মেলায় দর্শনার্থী হিসেবে সস্ত্রীক এসেছিলেন কবি কমরুদ্দিন আহমদ, তিনি বাঁশখালী টাইমসকে বলেন- ‘বই মেলা সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য প্রাণের মেলা, প্রিয়াত্মাদের দারুণ সম্মিলন। দিনদিন বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে, লেখক বাড়ছে কিন্তু সে তুলনায় সরকারী পৃষ্টপোষকতা অপ্রতুল।”
গতবারের চাইতে এবারের ব্যবস্থাপনা সুন্দর ও দর্শনার্থীর পাশাপাশি বেচা-বিক্রিও ভালো হচ্ছে বলে বাঁশখালী টাইমসকে জানালেন- গলুই প্রকাশনের সত্ত্বাধিকারী কাজী সাইফুল হক। এবারের বইমেলায় গলুই হতে ২৩ টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে বলে জানালেন তিনি।
সালফি পাবলিকেশন্সের সত্ত্বাধিকারী কবি মিনহাজুল ইসলাম মাসুম বলেন- বইমেলার ব্যবস্থাপনা গতবারের তুলনায় গোছানো হলেও আরও নান্দনিক পরিকল্পনা গ্রহণ করলে নগরবাসীকে বইমূখী করা যাবে সহজেই।’
নগর ও নাগরিক সভাপতি লায়ন এম আইয়ুব বলেন- দেশের দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে চট্টগ্রামের বইমেলার পরিধি আরও বিস্তৃত হওয়া দরকার বলে মনে করি।
কবি জয়ন্ত জিল্লু বলেন- ‘পাঠক ছাড়া লেখকের মূল্য নেই। আপনি যেটাই লিখুন পাঠকদের কাছে কতটুকু পৌঁছতে পারলেন সেটাই বিবেচ্য। বইমেলায় উচ্চস্বরে মাইকে গানবাজনা অনেকের কাছে বিরক্তিকর। তারচেয়ে মাইক্রোফোনে বইয়ের পরিচিতি প্রচার করলে ভাল হয়।’
কিশোর ঔপন্যাসিক আরকানুল ইসলাম বলেন – ‘বইমেলাকে উৎসবে পরিণত করতে আরও বড় বাজেটের উদ্যোগ নেয়া দরকার। নগরবাসী বইবিমুখ সেটা বলা যাবেনা- পাঠকদের প্রণোদিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।’
কথাসাহিত্যিক আরমানউজ্জামান বলেন- পাঠকদের বইমেলা মুখী করতে আরও পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার।
ছড়াকার মখছুছ চৌধুরী বলেন- বইমেলার পরিসর আরও বৃদ্ধি করা দরকার। ঢাকা বইমেলা থেকে ১৫/২০ টা মতো নিয়েছি। আরও সংগ্রহ করার ইচ্ছা আছে।’
এবারে প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেছে তান্নি চৌধুরী। তিনি বলেন- ‘দীর্ঘদিন ধরে কবিতা লিখলেও এবার একান্ত আম্মুর ইচ্ছায় বই আকারে প্রকাশ করা। বইটি কবিতা প্রেমীরা ছুঁয়ে দেখলে ভালো লাগবে।’
তরুণ লেখক তাফহীমুল ইসলাম বলেন- ‘বইমেলায় এসে খুব ভালো লাগছে। এতোদিন যাদের লিখা বিভিন্ন পত্রিকা, বই ও ফেসবুকে পড়তাম তাদের সাথে দেখা ও অটোগ্রাফসহ বই নেয়ার এইতো দারুণ সুযোগ’
মেলায় দর্শনার্থী হিসেবে এসেছিলেন রুহুল্লাহ বেলাল। তিনি বলেন- বই মেলায় এবারই প্রথম আসা, ভালো লাগছে খুব। তবে আমার হবু স্ত্রীর বইয়ের প্রতি খুব ঝোঁক।’