পুকুরিয়াসহ বাঁশখালীর অধিকাংশ ইউনিয়ন প্লাবিত

পুকুরিয়া প্রতিনিধি: কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢলের পানি ও জোয়ারের পানি একাকার হয়ে পুকুরিয়ারসহ বাঁশখালীর অধিকাংশ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতি হয়েছে। উপজেলার পুকুরিয়া, সাধনপুর, রায়ছটা, খানখানাবাদ, পুইছড়ি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে পানিতে।

বন্যা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ রুপ নিয়েছে শঙ্খনদী ঘেঁষা পুকুরিয়া ইউনিয়নে।
জোয়ারের পানির বৃদ্ধির ফলে পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৬, ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডসহ চাঁদপুর বাজারের আংশিক এলাকা এবং দক্ষিণ বরুমছড়ার অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

উত্তর পুকুরিয়া,পূর্বপুকুরিয়া, পশ্চিম পুকুরিয়া,পশ্চিম নাটমুড়া, দক্ষিণ বরুমচড়া এলাকা প্লাবনের ফলে মাছ চাষের অধিকাংশ পুকুর ডুবে গিয়ে মৎস্য চাষিদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তাছাড়া অনেক বসত বাড়ি প্লাবিত হওয়ায় রান্নাবান্নাও বন্ধ রয়েছে। এলাকাবাসীদের আশংকা রাতের জোয়ারে পানি আরো বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা দূর্গতদের দুর্ভোগ বাড়বে।

এ বিষয়ে বাঁশখালী টাইমসের সাথে আলাপকালে পুকুরিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোছাইন বলেন- “শংখ নদীর উত্তর পুকুরিয়া, পশ্চিম পুকুরিয়া ও দক্ষিণ বরুমচড়া অংশে বেড়িবাঁধ না থাকায় অনায়াসে জোয়ারের পানি ঢুকে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়।
শংখ নদী থেকে বালি উত্তোলনের ফলে পশ্চিম পুকুরিয়া ভাঙ্গন রোধ করা যাচ্ছে না। আমার আমলে প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরও কোন প্রতিকার পাইনি।”

এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের উপায় জানতে চাইলে তিনি জানান- “উপরোল্লিখিত অংশে বেড়িবাঁধ বাস্তবায়ন ও বালি উত্তোলন বন্ধ করা না গেলে যেকোন সময় ভয়াবহ দূর্যোগ নেমে আসতে পারে”

পুকুরিয়ার চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দীনের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *