নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছুড়ি ইউনিয়নের নাপোড়া (ভিলেজার পাড়া) ৮নং ওয়ার্ড এলাকার মীরা পাড়া এলাকার মৃত আমির হামজা বিধবা স্ত্রী ৫ ছেলে সন্তানের জনক ৭০ উর্ধ্ব বয়সী নুরুন্নাহারের ৩০ বছরের দখলীয় স্বত্ব খরিদ করা বসত বাড়ি-ঘর জবর দখলের উদ্দেশ্য ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষ সুত্রে জানা যায়, মৃত আমির হামজার স্ত্রী নুরুন্নাহার ৩ সন্তান ও ২ মেয়েকে নিয়ে ১৯৮৮ সাল ৩৮ শতক (১৮ গন্ডা) বন বিভাগের জায়গাই ভূমিহীন হিসেবে স্হানীয় মৃত অহন মিয়ার পুত্র জাকের মিয়ার কাছ থেকে দখল স্বত্ব খরিদ করে বসত ভিটা নির্মান করে বিগত ৩০ বছর ধরে বসবাস করে আসছিল।
বিগত কিছু দিন পূর্বে থেকে আমার বসতভিটাটি তে সামশুল আলমের কু-নজরে পড়লে সে আমাকে ও আমার বাড়িঘর উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় ইউপি সদস্য শেয়ার আলীর নির্দেশে মোঃ লোকমান, জাকের মিয়াকে সহ ৫-৬ জন এলাকার জবর দখল কারী সন্ত্রাসী নিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় আমার বাড়িঘরের উপর হামলা ও লোটপাট চালায়।
এ সময় আমার ঘরের বাঁশের ভেড়া ও টিনের চাউনী যুক্ত বসতঘরটি সম্পূর্ণ ভাঙ্গিয়া মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। এ সময় ঘরে থাকা মূল্যবান কাপড় চোপড়, আসবাবপত্র, লুট করিয়া নিয়া যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তবোগী নুরুন্নাহার বলেন,আমার বসত ভিটা ভাংচুর ও তছনছ করে, আমি কোন উপায় না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতে উপজেলা কার্যালয়ে আসার খবর পেয়ে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ঘরটি সম্পূর্ণ আগুন দিয়া পুুড়িয়া দেয়। ঘরে মধ্যে আমার রক্ষিত মজুদ করা প্রায় দেড় লক্ষ টাকার টাকার মালামাল ও গৃহ সামগ্রী পুুড়িয়া দেয়।
এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আক্তার বলেন,নুরুন্নাহার নামে এক বৃদ্ধা মহিলার বসতঘর ভাংচুর করা হয়েছে বলে আমাকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছে।
আমি বিষয়টি মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য পুইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে প্রেরণ করেছি।স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মীমাংসা না হলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।