বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ডাকাতিয়া ঘোনা এলাকায় একটি বাড়ি থেকে অপহৃত এক মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই কিশোরীকে পাঁচদিন ধরে একটি বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। তদন্তে পিবিআই জানতে পেরেছে- মেয়েটিকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ক্ষেত্রে ফাহিমের ছোট ভাইয়ের পাশাপাশি তার মা-বাবাও সহযোগিতা করেছে। অভিযুক্ত ফাহিম উদ্দিন (২২) ডাকাতিয়া ঘোনা এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে। তার ছোট ভাইয়ের নাম তৌহিন উদ্দিন (১৯)।
পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক আজাদীকে জানান, অষ্টম শ্রেণিতে পডুয়া ওই কিশোরীর মা মামলা করার পর তাকে উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়। তিনি বলেন, ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল ফাহিম উদ্দিন (২২) নামে এক যুবক। ওই ছাত্রী প্রত্যাখ্যান করায় ফাহিম ও তার ছোট ভাই তৌহিন মিলে গত ২ মে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে মেয়েটিকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। নিজেদের বাড়িতে আটকে রেখে ফাহিম তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এমনকি ওই ছাত্রীর মায়ের কাছে ফোন করে ফাহিম পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করে।
পিবিআই কর্মকর্তা আবু জাফর মো: ওমর ফারুক আরও বলেন, এই ঘটনায় গত ৫ মে ওই মাদ্রাসাছাত্রীর মা চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ফাহিম ও তৌহিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। তদন্তের আদেশ আসার পরই প্রাথমিক খোঁজখবর নিতে গিয়ে ছাত্রীর মাকে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার বিষয়টি জানতে পারে পিবিআই। ওই ফোনকলের সূত্র ধরে তদন্ত করে ফাহিমের বাড়িতে মেয়েটিকে আটকে রাখার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে অভিযানে যায় পিবিআই টিম। ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে ফাহিমের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযানের খবর পেয়ে ফাহিম, তার মা-বাবা ভাই পালিয়ে যায়। পিবিআই টিম মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্নের পর তাকে গতকাল বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করেছে।
সূত্র: দৈনিক আজাদী
