হাম্মাদ মুনীর: ছড়া ভাঙনের ফলে বৈলছড়ি ইউনিয়নস্থ চেচুরিয়া কুলীন পাড়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ২টি মাটির ঘর ধসে পড়ে। বেরিয়ে যায় লক্ষ টাকার মাছ, নষ্ট হয়ে যায় জমির ফসল। গতকাল রোববার রাতভর ভারি বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায় বৈলছড়ি ইউনিয়নের অনেক এলাকা। অতিরিক্ত পানির স্রোতে শেষ রাতের দিকে বৈলছড়ি ছড়ার পাড় ভেঙে গিয়ে পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। এতে কুলীন পাড়ার অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়। রাস্তা-ঘাট, পুকুর, মাঠ সবকিছুই পানিতে একাকার হয়ে যায়। অনেকের বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে। ফলে বাড়ির আসবাবপত্রসহ অনেক মূল্যবান সামগ্রী নষ্ট হয়। বিশেষ করে মাটির তৈরি ঘরগুলোর নাজুক অবস্থা দেখা যায়। সাবেক গ্রাম পুলিশ মৃত মোহাম্মদ উমরের বসতবাড়ির একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং মূল গুদাম ঘরের দেয়ালে বিশাল ফাটল সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে মৃত আহমদ কবিরের বাড়ির একপাশের দেয়াল ভেঙে গুঁড়িয়ে যায়।
দুটি ঘরই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেশ কিছু পুকুরে চাষকৃত বিপুল পরিমাণ মাছ বের হয়ে পড়ে এবং ক্ষেতের ফসল নষ্ট হওয়ায় কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন এত বেশি পরিমাণ পানি এখানে এর আগে কখনো দেখা যায়নি। অতিরিক্ত পানির স্রোতে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে ইট সরে গেছে আবার কিছু যায়গায় মাটি ক্ষয় হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাগুলো। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। এখনো সমানতালে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষেরা এমন অতর্কিত দুর্যোগে দিশেহারা হয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দিকে চেয়ে আছে। তাদের এমন দুর্ভোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পাশে চান তারা।