অরণ্য অধিকারী: বাঁশখালীর পরিবহন ব্যবস্থার মতো নারকীয় যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে সাধারণ যাত্রী থেকে শুরু করে বাঁশখালীর আপামর জনতা। যুগ যুগ ধরে চলে আসা নৈরাজ্য সময়ের ব্যবধানে প্রকট আকার ধারণ করলে গত ৩/৪ বছর ধরে চলে আসছে বিচ্ছিন্ন বিক্ষোভ-প্রতিবাদ।
এবার পরিবহন সেক্টরের চলমান নৈরাজ্য সহ্যের সীমা অতিক্রম করে রূপ নিয়েছে নির্যাতনে। এই ভয়াবহ চিত্র ও ঘটনার মুখোমুখি হয়ে আসছে বাঁশখালীর লাখ লাখ যাত্রী সাধারণ। বাঁশখালী স্পেশাল ও সুপার সার্ভিস নামধারী চটকদার মোড়কে প্রতিদিন হয়রানির শিকার হয়ে আসছে যাত্রীরা।
চলতি বছরে কয়েকটা বড় দুর্ঘটনা ও ফুটবলার ছোটনের করুণ মৃত্যুর জের ধরে সামাজিক মাধ্যমে পরিবহন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠে। প্রতিবাদে মুখর হয়ে প্রতিদিন নিজেদের ওয়ালে বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরছেন ভুক্তভোগীরা।
গত কয়েক দিন আগে সাধনপুর এলাকায় ক্ষুব্ধ যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া ফেরত ও চালক-হেলপার লাঞ্ছিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা নাফিজ মিনহাজ বলেছেন- ‘গুনাগরির নির্ধারিত ভাড়া ৫৫ টাকা, অথচ তারা নিচ্ছে ৮০ টাকা করে। তারা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে’
শিমুল নামা বলেছেন- গুনাগরির ভাড়া ৫৫ টাকা হলেও যারা চাঁদপুর কিংবা সাধনপুরের যাত্রী তাদের কাছ থেকেও ৫৫ টাকা নেয়া হচ্ছে যা স্পষ্ট অবিচার।
নগর ও নাগরিক সভাপতি লায়ন এম আইয়ুব বলেন- পরিবহন ব্যবস্থার নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দরকার রাজনৈতিক উদ্যোগ। অন্যথায় জনগণের মাঠে নামা ছাড়া বিকল্প নেই।
সাংবাদিক ফারুক আব্দুল্লাহ বলেন- ‘সবাই এগিয়ে আসলে অল্প সময়ের মধ্যে এই নৈরাজ্য চিরবিদায় নিবে’
উল্লেখ্য, বাঁশখালী টাইমস এর পাঠকদের জন্য খোলা ফেসবুক গ্রুপ বাঁশখালী টাইমস ফ্যান ক্লাবে এই সংক্রান্ত পোস্ট করার পর ব্যাপক মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পাঠকদের মধ্যে অনেকেই এই গ্রুপে নিয়মিত পরিবহন নৈরাজ্যের তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন।