ন্যায় বিচারের জের ধরে ছনুয়ার মেম্বারকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ
ছনুয়া প্রতিনিধি: ছনুয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের চারচার বার নির্বাচিত প্রবীণ মেম্বার নুরুল আলমকে (নুরু)গত ২৬ শে ডিসেম্বর হয়রানীমুলক মামলায় জলদী থেকে গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে।
একাধিক সুত্রে জানা যায়, নুরুল আলম মেম্বারকে দক্ষিণ ছনুয়া টেকপাড়ায় বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে দু’পক্ষের একটি বিরোধ সমাধান করে দেওয়ার জন্য তৎকালীন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রেজাউল হক চৌধুরী কর্তৃক দায়িত্ব দেওয়া হয়। এলাকার মাতব্বরদের নিয়ে একাধিক বৈঠকের মাধ্যমে তিনি বিরোধ মীমাংসার জন্য চেষ্টা করেন কিন্তু একপক্ষ মানলেও অন্যপক্ষ মেনে না নিয়ে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে হামলা করে।
হামলায় একপক্ষ অন্যপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করে । এবং সাথে নুরুল আলম মেম্বারকেও উদ্দেশ্যমুলকভাবে আসামী করার অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার।
আর সেই মামলায় নুরুল আলম মেম্বারকে গ্রেফতার করে। মহল্লার একাধিক বয়স্ক ব্যক্তি জানায়- নুরু মেম্বার গত ২০ বছর ধরে এলাকার নির্বাচিত মেম্বার। তিনি সততার সাথে বিচার করেন। যারা মামলা করেছে তারাও এই ঘটনার আগে নুরু মেম্বারের কাছে একাধিক সালিসের সৎ বিচার পেয়েছেন। কিন্তু তারা একটি মহলের চাপে পডে মামলায় নুরু মেম্বারের নাম যুক্ত করে।
এলাকার তৎকালীন চেয়ারম্যান রেজাউল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- “আমি যখন কোন কারণে পরিষদে যেতে পারতাম না তখন সব দায়িত্ব এই নুরু মেম্বারের কাছেই দিতাম কারণ তিনি আমি নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই পরিষদের মেম্বার। তিনি পুরো ছনুয়ায় একজন সৎ মানুষ হিসেবে সুপরিচিত। অন্য ওয়ার্ডের মানুষরাও এই নুরু মেম্বারের কাছেই যান শুধুমাত্র সৎ বিচার পাওয়ার আশায়”।
ছনুয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব জিল্লুর রহমান জিল্লু’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- “যখন আমি পরিষদের মেম্বার ছিলাম তখন বিচার কাজে এই নুরু মেম্বারের সততায় সবসময় আমি মুগ্ধ থাকতাম, অনেক ভালো মানুষ ছিলেন তিনি”।
মালয়েশিয়া থেকে নুরু মেম্বারের ছেলে আব্দুল কাদের বাচ্চু এক ফেসবুকে স্ট্যাটাস বলেন-
“আমার আব্বুকে সৎ বিচার করার কারণে প্রথমবারের মত জেলে যেতে হল। প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে আমার নির্দোষ বাবাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি”।
আরও পড়ুন :