বাঁশখালী টাইমস: কড়া নাড়ছে পৌরসভা নির্বাচন। সারাদেশের পৌরসভাগুলোতে বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। পিছিয়ে নেই চট্টগ্রামের এ গ্রেডের পৌরসভা বাঁশখালীও। এখানে আগেভাগেই বইছে নির্বাচনী হাওয়া। করোনার কারণে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার এক খবরে মাঝখানে নির্বাচনী হাওয়া দূর্বল হলেও নির্বাচন কমিশন থেকে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মর্মে খবর বেরুলে ফের সরগরম হয়ে উঠছে বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনের মাঠ। এই নির্বাচনী আমেজে নতুন মাত্রা যোগ করতে বাঁশখালী টাইমস সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে আয়োজন করেছে সাক্ষাৎকারমূলক বিশেষ ধারাবাহিক ‘নির্বাচনী হাওয়া: প্রার্থীদের মুখোমুখি’
আজকের পর্বে কথা বলেছেন বাঁশখালী পৌরসভার আওয়ামী লীগ দলীয় সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী শ্যামল কান্তি দাশ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাঁশখালী টাইমসের সাংবাদিক তাফহীমুল ইসলাম।
বাঁশখালী টাইমস- আদাব, বাঁশখালী টাইমসের এবারের আয়োজনে আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি। কেমন আছেন?
শ্যামল কান্তি দাশঃ ভালো আছি। বাঁশখালী টাইমসকেও স্বাগত জানাই।
বাঁশখালী টাইমস- আপনি কেন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আসতে চাচ্ছেন।আপনার দৃষ্টিতে এই এলাকার মূল সমস্যাগুলো কী কী? নির্বাচিত হলে এসব সমস্যা হতে উত্তোরণে আপনি কী কী পদক্ষেপ নিবেন?
শ্যামল কান্তি দাশঃ পৌরবাসীর সেবা করার লক্ষ্যে আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে আসতে চাই। এলাকার ন্যায় বিচার, জনগণের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মাদক নির্মূল বর্তমান পৌরসভার প্রধান চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া রাস্তাঘাট, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা, পয়ঃনিষ্কাশন, বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ পৌরবাসীর প্রধান দাবি। এসব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
বাঁশখালী টাইমস- দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী, দল আপনাকে কেন মূল্যায়ন করবে বলে মনে করেন? মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন কি?
শ্যামল কান্তি দাশঃ আমি আশাবাদী দল আমাকেই মনোনয়ন দিবে। দীর্ঘদিন আমি আওয়ামী লীগ এবং এর পূর্বে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সংগঠনের প্রতিটি কর্মসূচী, আন্দোলন, সংগ্রাম, মিছিল, মিটিং, জাতীয় দিবস উদযাপনসহ সকল কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছি। সেসব বিষয় বিবেচনা করে দল আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে মনে করি। মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবো কিনা সেটা পৌরবাসীর মতামতের ভিত্তিতে সময়ে চিন্তা করা হবে।
বাঁশখালী টাইমস- আপনার বেড়ে উঠা, পেশাগত পরিচিতি-রাজনৈতিক পরিচিতি ও এলাকায় আপনার সামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে যদি বলতেন…
শ্যামল কান্তি দাশঃ আমি পৌরসভা তথা জলদীতে বেড়ে ওঠেছি। বর্তমানে ঠিকাদারি ব্যবসার সাথে জড়িত আছি। রাজনীতি ছাড়াও আমি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ-সভাপতি, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষানুরাগী হিসেবে চিহ্নিত। এছাড়াও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছি।
বাঁশখালী টাইমসঃ আপনার কী কী গুণাবলী, যোগ্যতা ও ইতিবাচক দিক আপনাকে অন্যান্য প্রার্থী হতে এগিয়ে রাখবে বলে মনে করেন?
বাঁশখালী টাইমস- আমি ১৯৮৬ সাল থেকে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে এবং দলের প্রতিটি কর্মসূচীতে ধারাবাহিকভাবে জড়িত থেকে কাজ করে আসছি। দলের সুনাম ক্ষুন্ন হয় এমন কোন কাজে আমি জড়িত নই। তাই মনে করি, দল আমার কর্মকান্ড বিবেচনায় আনবে৷
বাঁশখালী টাইমস- বিজয়ী হলে এই আপনার নির্বাচনী এলাকার সার্বিক উন্নয়নকল্পে কোন কাজগুলো অগ্রাধিকারভিত্তিতে করবেন?
শ্যামল কান্তি দাশঃ রাস্তাঘাট, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ পৌরসভার সকল কর্মকান্ড স্বচ্ছ, জবাবদিহীতা ও নাগরিক সুবিধা ও চাহিদার ভিত্তিতে গ্রহণ করবো। বিজয়ী হলে মানুষের চাহিদার আলোকে পৌরসভা সাজাবো।
বাঁশখালী টাইমসঃ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, বাঁশখালী টাইমসকে সময় দেয়ার জন্য।
শ্যামল কান্তি দাশঃ আপনাকে এবং বাঁশখালী টাইমসকেও ধন্যবাদ।