মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: “নিরাপদ সড়ক চাই, বেপরোয়া ড্রাইভিং বন্ধ কর করতে হবে” স্লোগানে আজ সোমবার দুপুর ১২টায় (১২ ফেব্রুয়ারী) বাঁশখালী প্রধান সড়ক সংলগ্ন মনছুরিয়া বাজারে দীর্ঘ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন বাঁশখালীর বিভিন্ন পেশাজীবী, শিক্ষক, ছাত্রসহ অাপামর জনতা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে তারা বলেন, আনোয়ারা-বাঁশখালী প্রধান সড়কে নিত্য সড়ক দূর্ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে। সড়ক দূর্ঘটনা যেন নয় হত্যাকান্ড। অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ী, লাইসেন্স বিহীন বেপরোয়া যানচলাচল, সংকীর্ণ সড়ক ব্যবস্থা সব মিলিয়ে বাঁশখালীর প্রধান সড়কটিই যেন মরণ ফাঁধ। প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনায় অকালে ঝরে যাচ্ছে কতো প্রাণ তার কোন হিসেব নাই।
তারা আরো বলেন সম্প্রতি সড়ক দূর্ঘটনায় বাঁশখালীর অনেকে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। গত রবিবার বাঁশখালীর কৃতি ফুটবলার ছোটন সহ আরো ২ জনের মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন আগে বানীগ্রাম সাধনপুর রাস্তার মোড়ে সিএনজি- বাসের ধাক্কায় ২জন যাত্রী তাৎক্ষনিক মারা যায়। এভাবে অহরহ মৃত্যু সংঘটিত হচ্ছে বাঁশখালীর ব্যস্থতম প্রধান সড়কটিতে। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিভিন্ন স্থানীয়, জাতীয় দৈনিকে নিরাপদ সড়কের দাবীতে প্রতিবাদ জানা হলেও আজবধি কোন সুরাহা মেলনি। এই পর্যন্ত কতৃপক্ষ থেকে জোরালো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে ব্যাপক প্রাণহানিসহ জাতীয় সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। দিন দিন গুণিতক হারে বাড়ছে দুর্ঘটনা। একই সাথে বাড়ছে অকাল মৃত্যুর হার ও জাতীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। বাংলাদেশ সড়ক দূঘটনায় প্রতিদিন ২০/২৫ জন মানুষ মারা যাচ্ছে। বাঁশখালীও তার কাতারে। নিরাপদ সড়ক চাই পৃথিবীর আর কোন দেশে এমন ধরনের সামাজিক আন্দোলন নেই। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি রোজকার ঘটনা। একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। জনসচেতনতা, প্রশিক্ষিত চালক ও আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত হলেই নিরাপদ সড়ক
বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট মহল।
বাঁশখালী ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বাবু প্রকাশ বড়ুয়া বলেন, আমরা আর সড়ক দূর্ঘটনায় কোন ছোটনকে হারাতে চাইনা। তিনি নিরাপদ সড়কের দাবী জানিয়ে বলেন অদক্ষ চালক, সড়কের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা বেশি,
বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো,
রাস্তার জ্যামিতিক ত্রুটি, নেশাগ্রস্ত
হয়ে গাড়ি চালানো, পথচারী ও
যাত্রীদের অসাবধানতাই দায়ী। আমরা আর সড়ক দুর্ঘটনা দেখতে চাই না। প্রতিদিন অসংখ্য সড়ক দুর্ঘটনায় এদেশের হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরন করছে,পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে লক্ষ লক্ষ মানুষ।একটি সড়ক দুর্ঘটনা
বয়ে নিয়ে আসে অপরিসীম যন্ত্রনা-
অধিকাংশ পরিবারের কর্মক্ষম মানুষটি হারিয়ে হয়ে যায় অসহায়।