মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ওলামায়ে কেরামের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে গুটিকয়েক নাস্তিক মুরতাদ ইসলামের বিরুদ্ধে কটুক্তি করার সাহস পাচ্ছে। আর সরকার নাস্তিক মুরতাদদেরকে পৃষ্ঠকোষকতা করার মাধ্যমে কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের জনগনের টাকায় গুলি কিনে সেই গুলি দিয়ে সাধারন জনগনের বুকে উপর পাখির মত গুলি চালানো হবে,আর আমরা ঘরে বসে থাকব,তা এদেশের জনগন তা বরদাস্ত করবেনা। ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে তৌহিদী জনতা মাঠে নেমে এসেছে, সরকার যদি অবিলম্বে নাস্তিক মুরতাদদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তৌহিদী মুসলমানদের আন্দোলনে নাস্তিক মুরতাদ এবং তাদের সহযোগি কেউ পালাবার পথ পাবে না। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনের পূর্বে ইশতিহারে বলেছিল ক্ষমতায় গেলে কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোন আইন করবে না। আর ক্ষমতায় এসেই সংবিধান থেকে আল্লাহর নামম মুছে ফেলা, কুরআন বিরোধী নারীনীতি অনুমোদনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরাসরি কুরআন-সুন্নাহর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এখন আবার ইন্টারনেটে ব্লগারদের মাধ্যমে নাস্তিক্যবাদ ছড়িয়ে দিয়ে গোটা দেশকে ইহুদী-খৃষ্টানদের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার চক্রান্ত শুরু করেছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে কুঁক্তি করার কারণে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হলেও আল্লাহ ও রাসূলের বিরুদ্ধে কুঁক্তি করে জঘন্য ভাষায় ব্লগকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাতো নেওয়া হয়ইনা। বরং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।তিনি অতি সত্তর নাস্তিক-মুরতাদ ও নবীর দুশমন ব্লগারদের অবিলম্বে গ্রেফতার, ব্লগসমূহ বন্ধ ও ইসলাম নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি তথা গণতন্ত্র বাদীদের অসারতা, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখার প্রবণতা, সমগ্র দেশব্যাপী নাস্তিকদের আস্ফালন যে পর্যায়ে পৌঁছে গেছে তা থেকে পরিত্রাণের জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একমাত্র মুক্তির ঠিকানা। আমরা দেশের মানুষকে একটি মুক্তির দিশা দিয়েছি, আশা দেখিয়েছি। মানুষ এখন বুঝতে পারতেছে ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশই অবহেলিত, নিষ্পেষিত, বঞ্চিত মানুষকে মুক্তি দিতে পারে। তাই চলমান এই প্রক্রিয়াই ইসলাম ও মানবতার পক্ষে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।আসুন অন্য কোনো মতাদর্শে নিজেকে শামিল না করে ইসলামকে একমাত্র মানদন্ড ধরে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে যায়।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের
বাঁশখালী উপজেলার পৌর সদরের জলদী গ্রীণ পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে ওলামা ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী দক্ষিণ জেলার সভাপতি মাওলানা আতাউল্লাহ ইসলামাবাদীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জসিম উদ্দীন মিসবাহ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উলামা ও সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, চাম্বল দারুল উলুম আইনুল ইসলাম মাদ্রাসার পরিচালক পীরে কামেল আল্লামা শাহ আব্দুল জলিল,পুকুরিয়া আনছারুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওঃ হাফেজ নুর আহমদ,চট্টগ্রাম দারুল মা-আরিফ মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওঃ হাফেজ ফরিদ আহমদ আনছারী,মাও: আনোয়ারুল ইসলাম কদিম,
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি মাওলানা শফকত চাটগামী,মাওলানা রাশেদুল ইসলাম রহমতপুরী,জেলা সেক্রেটারি মাও: জসিম উদ্দীন,মো: আবুল কালাম,মাও: ছালেকুজ্জামান,মুফতি মোঃ ওবাইদুল্লাহ,মাও: খালেদুর রহমান,মাওঃ আলমগীর ইসলামাবাদী প্রমুখ।