নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁশখালী টাইমস: বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়নের নাটমুড়া গ্রামে স্থানীয় প্রশাসনের বিচার অমান্য করে জমি জবরদখল, সীমানা খুঁটি অপসারণ ও প্রতিক্ষের প্রতি মারমুখী আচরণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় হাবিবুল্লাহ সওদাওগরের বিরুদ্ধে।
গত ১৯ ডিসেম্বর পূর্ব নির্ধারিত তারিখে বিচারাধীন জায়গায় পাকা খুঁটি বসাতে গেলে অভিযুক্ত হাবিবুল্লাহ সওদাগর ও তার দুই ছেলে আব্দুর রহমান, হাফিজুর রহমান ও আনিছ খুঁটি তুলে ফেলে এবং অপরপক্ষ মো. ঈসা চৌধুরীকে মারধরের উদ্দেশ্যে তেড়ে আসে। এ ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ আহমদ, মুছা মেম্বার ও স্থানীয় আবদুল মোতালেব, মোহাম্মদ হোসেন, আবুল কালাম প্রমূখ।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করে হাবিবুল্লাহ সওদাগরের বিরুদ্ধে গত ২০ ডিসেম্বর বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ঈসা চৌধুরী।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন- ‘আমরা ইতোপূর্বে দফায় দফায় বৈঠক করে স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যস্থতায় একাধিকবার সীমানা পরিমাপ করি , প্রতিবারই বিচার মানবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোন এক অদৃশ্য ক্ষমতার বলে সে প্রতিবারই বিচারের রায় প্রত্যাখান করে এবং জমি জবরদখল করে। সর্বশেষ গত ১৯ তারিখ মানুষের সামনে আমাদের দিকে মারার জন্য তেড়ে আসে। যার সাক্ষী ও প্রমাণ বিদ্যমান আছে, আমি আমাদের সম্মানহানির বিচার ও একই সাথে বিচারের রায় অনুযায়ী আমার প্রাপ্য জমি বুঝিয়ে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ প্রসঙ্গে পুকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিন বাঁশখালী টাইমসকে বলেন- ‘এ বিষয়টা আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিচার অমান্য করে কেউ ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করা ন্যায়সঙ্গত নয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে অভিযুক্ত হাবিবুল্লাহ বলেন- ‘আমি আমার পাওনা জমির জন্য লড়াই করছি, আমার কাছে বিগত দিনের বায়নানামা আছে কিন্তু জমি বুঝিয়ে দিচ্ছে না, আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছে তা সত্য না, তারা মূলত যা দাবি করছে ততটুকু পাবেনা।