ধর্ষক মিন্টু র‌্যাবের গুলিতে নিহত

মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: চট্টগ্রামের বাঁশখালী পেকুয়া সীমান্তে ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষনকারী আবদুল হাকিম মিন্টু (৩০) অবশেষে র‌্যাবের সাথে গুলিবিনিময়কালে নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) ভোরে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বাঁশখালী-পেকুয়া সীমান্তবর্তী পশ্চিম টৈটং মিতান্নঘোনায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাবের স্কোয়াড্রন লিডার সাফায়েত জামিল ফাহিম, লেপট্যানেন্ট কমান্ডার আশিকুর রহমান ও তারিক আজিজের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে সন্ত্রাসীদের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি ওয়ান শুটার গান, ৫ রাউন্ট গুলি ও ২টি খোসাসহ ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষনকারী বাঁশখালীর শেখেরখীল এলাকার শামশুল ইসলামের পুত্র আবদুল হাকিম মিন্টুর লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব সদস্যরা। পরবর্তীতে এ লাশ পেকুয়া থানায় স্থানান্তর করে র‌্যাব সদস্যরা। রাতে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ও ময়না তদন্তের পর বাঁশখালী থানায় নিয়ে আসা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে শেখেরখীল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের টেকপাড়া এলাকার মোস্তফা আলীর ১০ বছর বয়সী শিশু কন্যা শামীমা আক্তার (ছদ্মনাম) বাড়ীর পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গেলে সেখানে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে একই এলাকার শামশুল আলমের পুত্র আব্দুল হাকিম মিন্টু। এ সময় ওই শিশুর প্রচুর পরিমাণ রক্তক্ষরণ হলে ধর্ষক মিন্টু তাকে ধান ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমান শিশুটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সে শেখেরখীল ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী। ওই ঘটনায় শিশুটির পিতা বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করে। সর্বশেষ মঙ্গলবার ভোরে র‌্যাবের একটি টিম তাকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করলে ওই ধর্ষক র‌্যাবকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি বিনিময় করে। এ সময় র‌্যাবের গুলিতে বিদ্ধ হয়ে ওই ধর্ষকের মৃত্যু ঘটে।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাহউদ্দিন হিরা বলেন, শেখেরখীলের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষিতা আবদুল হাকিম মিন্টু র‌্যাবের সাথে গুলিবিনিময়কালে পেকুয়ায় নিহত হওয়ায় সে লাশ পেকুয়া থানায় স্থানান্তর করা হয়েছে। ময়না তদন্ত ও অন্যান্য কাজ শেষে বাঁশখালীতে স্থানান্তর করতে পারে তার লাশ। তখন সে লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *