বাঁশখালী টাইমস: শুধুমাত্র উৎপাদন দিয়ে কোন পণ্যের বিক্রয় নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব না। গুণগতমানের পণ্য, দক্ষ জনবল, আন্তরিকতা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই সেটি অর্জন করা সম্ভব। ‘আস্থা ফিড’ এবং এর সাথে জড়িত প্রত্যেকের উল্লেখিত গুণগুলো আছে বলেই মাত্র ১৭ মাসের ব্যবধানে মাসিক ফিড বিক্রয় ১০ হাজার মে. টন অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয়, এটি প্রমাণিত সত্য যে- আস্থা ফিডের প্রতি দেশের খামারি তথা মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও চাহিদার জায়গা তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি দেশের ফিড সেক্টরে নতুন কিন্তু অতি অল্প সময়ে সুপরিচিত কোম্পানি আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড আয়োজিত ‘Celebration of 10,000 MT Feed Sales’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন। সকাল দশটায় কোম্পানিটির রাজধানীর উত্তরাস্থ কর্পোরেট অফিসে “অবিরাম অগ্রযাত্রায় সীমাহীন স্বপ্নের দিকে’ স্লোগানে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। কোম্পানির কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন এর কণ্ঠে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, আমাদের ব্রয়লার ফিড নিয়ে অহেতুক নানা কথা আছে, এমনকি সমাজের অনেক দায়িত্ববান লোকও ব্রয়লার মুরগি নিয়ে আজেবাজে কথা ও গুজব ছড়ায়। তাদের কথা শুনে মনে হবে যেনতেন কিছু দিয়ে হয়তো পোলট্রির খাবার (ফিড) তৈরি হয়, তাই এসব অপপ্রচার রোধে জায়গাগুলোতে প্রচারনা দরকার। আমাদের বুঝতে হবে, দেশের প্রান্তিক মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তায় সেক্টরটি একটি ভ্যালু এড করেছে।
তিনি বলেন, ব্যাংক যে বিনিয়োগ করেছে এবং টাকা ফেরত আসছে, তারচেয়ে বড় কথা ব্যাংকের ব্যবসা বা সেবাটি কোথায় চলে গেছে সেটি ভাবার বিষয়। ‘আস্থা’র যে জায়গাটি সেটিতো এমনি এমনিই চলছে না; নিশ্চয়ই সেখানে একটি বিশাল জায়গা তৈরি হয়েছে, এবং সে জায়গাটি শেষ পর্যন্ত প্রান্তিক মানুষের নিউট্রিশনে ভ্যালু এড তৈরি করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যে মাংস ও ডিম খাবো সেটি যেন অধিক নিরাপদ হয়। সরকার এটি খুব চায় -মানুষ নির্বিঘ্নে আমাদের এসব পণ্য খাবেন। শুধু পরিমান দিয়ে নয়, মানের দিক দিয়ে আমাদের উন্নত হতে হবে। একটি দেশ কতটুকু উন্নত সেটি বুঝা যায় সে দেশের প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন দেখে, তাই আমাদের শুধু দেশ উন্নত হয়ে গেছে ভাবলে হবে না, প্রাণিসম্পদ সেক্টরকে আরো উন্নতির পথে নিয়ে যেতে হবে। জাতিসংঘ নির্ধারিত ২০৪১ সনের মধ্যে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে প্রাণিসম্পদ খাতকে পরিমান ও মান দিয়ে আরো বেশি উন্নত করতে হবে।
আস্থা ফিড -এর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন চৌধুরী বলেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে আস্থা ফিডের এই সফলতা একমাত্র সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র কোয়ালিটির জন্য। কোয়ালিটি অব মাই পিপল, কোয়ালিটি অব মাই প্রোডাক্ট, কোয়ালিটি অব মাই কমিটমেন্ট এবং কোয়ালিটি অব কনসিস্ট্যান্সী -এই সকল কোয়ালিটির সমন্বয়েই কিন্তু আজকের এই সফলতা। এগুলো না থাকলে মাত্র ১৭ মাসে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন চাট্টিখানি কথা ছিল না। এখানে যারা আছেন তারা সবাই জানেন, এই অবস্থায় আসতে আমাদের কতটুকু সাধনা করতে হয়েছে এবং এই সাধনা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ। এ সময় তিনি সাধনার এই পথচলায় সবার সম্মিলিত সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।
আস্থা ফিডের বাঁশখালী অঞ্চলের ডিলার আস্করী এগ্রো ফার্মের প্রোপ্রাইটর আরফাত উদ্দিন আস্করী বলেন, বাঁশখালীতে আস্থা ফিড বিক্রির ৬ মাসের মধ্যেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই ফিডের গুণগত মান খামারীরা ব্যবহারিকভাবে প্রমাণ পেয়েছে। এই ফিডের বহুল প্রসারের জন্য আমরা আরও সাব ডিলার নিয়োগ করবো।