শিব্বির আহমদ রানা : কাল সন্ধ্যা থেকেই শুরু ধমকা হাওয়া ধীরে ধীরে তীব্র গতি নিচ্ছে। থেমে থেমে জড়ো হাওয়া তো আছেই। এদিকে বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙ্গে গিয়ে সড়ক পথে যাত্রায় বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাহত হচ্ছে। অনেকের ঘরের ও ফার্মের চালা উড়ে যাওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। গেলো ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে বাঁশখালীতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগপ্রবণ অঞ্চল বাঁশখালীতে দূর্যোগ নিত্য হানা দিচ্ছে। এমনন সৃষ্ট দূর্যোগের প্রভাবে বাঁশখালীতে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ দিন পরে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হলেও অনেক গ্রামাঞ্চলে আজো অালোর মুখ দেখেনি।
গতকাল থেকে ধমকা ঝড়োহাওয়াসহ একটানা ভারী বর্ষণে পাহাড়ী ঢলে কৃষকের প্রায় ফসলি জমি তলিয়ে যায়। বৃষ্টিপাত ও ব্যাপক বাতাসের কারণে বাঁশখালীর পুঁইছড়ি, শেখেরখীল, চাম্বল, শিলকুপ, কালীপুর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকের ফসলি জমির ফসল নষ্ট হয়েছে এমনটি জানান কৃষকেরা। ধমকা বাতাসে অনেকের ক্ষেতের (কাকরল, শশা সহ) মাঁচা ভেঙ্গে যায়। শীলকুপের এক কৃষক নাছির বলেন, এই ঝড়ের কারণে কাকরল সহ অনেক ফসলি জমি নষ্ট হয়ে গেছে। মৌসুমের শুরুতেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রভাবে বাঁশখালীতে কৃষকের অভাবনীয় ক্ষতি হয়েছে।
দূর্যোগের এই প্রভাব কৃষক, সাধারণ শ্রমিক, রিকশাচালক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে দূর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। সামনে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঈদের কেনাকাটা কয়েকদিন ধরে বাঁশখালীর পুইছড়ি থেক চাঁদপুর পর্যন্ত সকল মার্কেটে ক্রেতার সরগরম থাকলেও দূর্যোগের বৈরী আচরণে মার্কেট গুলোতে ক্রেতাসাধারণের তেমন ভীড় দেখা যাচ্ছেনা। এদিকে ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম যেমন স্থিমিত হয়ে পড়েছে তেমনি তাদের দুঃচিন্তারও অন্ত নাই।
এদিকে অভ্যন্তরীণ প্রায় সড়কের বেহাল দশা। ছনুয়া, শেখেরখীল, চাম্বলের বাংলাবাজার সড়ক, দারোগা বাজার থেকে জালিয়াখালী পর্যন্ত সড়ক, মিয়ার বাজার হতে হারুন বাজার, কাথরিয়া, গুনাগরি থেকে মোশারফ আলীর হাট পর্যন্ত সড়ক গুলোর বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টিতেও সড়কের বড় বড় গর্তগুলো কুয়ার মতো রুপ নেয়। একদিকে প্রকৃতির চরমহেয়ালীপনা অন্যদিকে অনুন্নত অবকাঠামো সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত বাঁশখালী। দিন দিন জনদূর্ভোগ বেড়েই চলছে বাঁশখালীবাসীর।