BanshkhaliTimes

দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাঁশখালীতে আটক ৩

মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের : বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি এলাকায় স্বামী পরিত্যক্তা দুই সন্তানের জননী শাহিদা আক্তার (৩৪) ছদ্মনামকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বৈলছড়ি ইউপির ৩ নং ওয়ার্ডের শফিক আহমেদের পুত্র মোঃ মোক্তার (৪০), একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুস ফকিরের ছেলে মো. সরওয়ার (৩৫) ও ৪ নং ওয়ার্ডের ফরিদ আহমদের পুত্র নুরুল আলম (৩৫)কে আটক করে থানা পুলিশ। সোমবার (১৬ মে) বিকালে উপজেলার বৈলছড়ি এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ১১ টায় দোয়া নিতে মেয়েটি কালীপুর এলাকার পূর্ব পালেকগ্রাম শাহ বারিয়া মাদ্রাসায় যায়। ওই মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে কালীপুর ফকিরের দোকান এলাকার ফয়েজ আহমদের ছেলে শহিদুল ইসলামের অটোরিক্সা যোগে পুণরায় বাড়িতে ফিরে আসা জন্য গাড়িতে ওঠে। পথিমধ্যে মেয়েটিকে অভ্যান্তরিণ সড়ক দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বৈলছড়ি আজিজিয়া (ফকিরপাড়া) মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে পূর্বদিকে কালীপুর-বৈলছড়ী সীমান্ত ৯ নং ওয়ার্ডের বরকাটা এলাকার পাহাড়ি গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে জোরপূর্বক ৫-৭ জনের একটি দল শারীরিক নির্যাতনসহ তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করার ফলে অজ্ঞান হয়ে যায় সে। পরবর্তীতে শনিবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় থাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানা পুলিশ তিনজন আটক করে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত নির্যাতিত ওই নারীর মা নুরতাজ বেগম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা যায়।

নির্যাতিত ওই নারীর ছোট ভাই মাওলানা শিহাব উদ্দিন জানান, শুক্রবার সকাল ১১ টায় দোয়া নিতে আমার মেজ বোন কালীপুর এলাকার পূর্ব পালেকগ্রাম শাহ বারিয়া মাদ্রাসায় যায়। ওই মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে অটোরিক্সা যোগে পুণরায় বাড়িতে ফিরে আসার সময় অভ্যান্তরিণ সড়কে দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসার কথা বলে বৈলছড়ি আজিজিয়া (ফকিরপাড়া) মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে পূর্ব দিকে কালীপুর-বৈলছড়ী সীমান্ত ৯ নং ওয়ার্ডের বরকাটা এলাকার গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে শারিরীক নির্যাতন সহ জোরপূর্বক সারারাত তাকে আটকিয়ে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানা পুলিশ তিনজন আটক করে। এ বিষয়ে আমার মা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় লোকজন তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তিনি বলেন, ‘ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’

 

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *