বিশেষ প্রতিবেদন: শত প্রতিকূলতার মাঝে জীবন যুদ্ধে হার না মানা বিস্ময়বালক অদম্য মেধাবী আবদুর রহমান। বাঁশখালীর দক্ষিণ চাম্বলের অধিবাসী মরহুম আবদুর রশিদ ও মরহুমা মরতুজা বেগমের এ সন্তান এবার পুঁইছড়ি ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে আলিমে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।
তার পেছনের গল্পগুলো যে কারো হৃদয়ে দাগ কাটার মতোই। দরিদ্র কৃষক বাবার সংসারে অভাব লেগেই থাকতো, তার উপর বাবা ছিল রাতকানা রোগী!
সে কিছুদিন চাম্বল মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। পড়ালেখার খরচ জোগাতে চাম্বল থেকে গরু নিয়ে রামদাশ মুন্সির হাটে যেত। বিনিময়ে পেত মাত্র ৩০ টাকা।
এরপর সাতকানিয়া ডলুকুল নুরীয়া মাদ্রাসায় পড়ার সময় সংসারের খরচ জোগাতে ১৫০০ টাকা বেতনে চায়ের দোকানে পানি টানার কাজ করতো।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ২০০৩ সালে মা ও ২০১৪ সালে বাবা মারা গিয়ে এতিম হয়ে যায় আবদুর রহমান। দুই বোনের বিয়ের টাকা জোগাড় করতে ২০১৩ সালে দাখিল পরীক্ষা দিয়ে পাড়ি জমায় মালয়েশিয়ায়।
আজ সন্ধ্যায় বাঁশখালী টাইমসের সাথে আলাপকালে আবদুর রহমান জানায়, মালয়েশিয়া থাকাকালীন ভিসা নবায়ন করতে না-পারায় ১ মাস জেলে থাকার তিক্ত অভিজ্ঞতাও আছে তার জীবনে!
জীবনযুদ্ধের এতোসব কঠিন পরিস্থিতির মুখেও আবদুর রহমান ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত জেডিসিতে গোল্ডেন এ প্লাস ও ২০১৩ সালে দাখিলে এ প্লাস অর্জন করে।
একাডেমিক সাফল্যের পাশাপাশি সে ২০১২ সালে বেগম রোকেয়া রচনা প্রতিযোগিতা এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সাশ্রয় রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে।
সে বাঁশখালী টাইমসকে জানায়, “আমি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার জন্য অনেক কষ্ট করতে রাজি। আমি উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে একটি চাকুরির আশায় বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”