মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: পরিবেশ সংরক্ষণ ও দারিদ্র বিমোচনের লক্ষে বনকে সংরক্ষণ করার জন্য জলদী অভয়ারন্য রেঞ্জের উদ্যোগে চাম্বল বন বিটের ২০০২-০৩ সনের সমাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের লভ্যাংশের (শেয়ার ৪৫%) সাধারন উপভোগীদের মাঝে চেক বিতরন কালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস.এম গোলাম মওলার সভাপতিত্বে ও ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান কালে অর্থ ও পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি বলেন,সামাজিক বানয়ন হলো স্থানীয় দরিদ্র জনগণকে উপকারভোগী হিসেবে সম্পৃক্ত করে পরিচালিত বনায়ন কার্যক্রম যার প্রত্যক্ষ সুফলভোগীও উপকারভোগী হয়ে থাকেন। বনায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা, বনজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা, লভ্যাংশ বন্টন ও পুনঃবনায়ন সব কাজেই তারা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত থাকে। ভূমিহীন, দরিদ্র, বিধবা ও দুর্দশাগ্রস্থ গ্রামীণ জনগণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করাই সামাজিক বনায়নের প্রধান লক্ষ্য। সামাজিক বনায়নের মূল উদ্দেশ্য হলো দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে তাদের স্বনির্ভর হতে সহায়তা করা এবং তাদের খাদ্য, পশুখাদ্য, জ্বালানী, আসবাবপত্র ও মূলধনের চাহিদা পূরণ করা। নার্সারি সৃজন, প্রান্তিক ও পতিত ভূমিতে বৃক্ষরোপণ করে বনজ সম্পদ সৃষ্টি, মরুময়তারোধ, ক্ষয়িষ্ণু বনাঞ্চল রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধি, পরিবেশ উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং সর্বোপরি কর্মসংস্থান ও দারিদ্র নিরসনে সামাজিক বনায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
অতঃপর ১৯৮১-৮২ সাল হতে সরকারী বনভূমিতে বনায়নের জন্য বৃহত্তর ৭টি জেলায় কমিউনিটি ফরেষ্ট্রী প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের অংশগ্রহনে অংশীদারিত্বমূলক সামাজিক বনায়নের প্রচলন করে। সরকার ২০০০ সালে সামজিক বনায়ন কার্যক্রমকে ১৯২৭ সালের বন আ্ইনের অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে আইনি কাঠামোতে নিয়ে আসে।
সামাজিক বনায়নকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সরকার ২০০৪ সালে সামাজিক বনায়ন বিধিমালা প্রবর্তন করে।
তারিধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার ক্ষমতায় অাসার পর সারাদেশের মত বাঁশখালী উপজেলায় পরিবেশ সংরক্ষন ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ব্যাপক হারে বনায়নের উদ্যোগ গ্রহন করেছে।তা ছাড়া পুরো বাঁশখালী উপজেলার অধিকাংশ বনায়নঞ্চলে এশিয়ান হাতি বসবাস করে। হাতি সংরক্ষণের জন্য ও বর্তমান সরকার বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
এ ছাড়াও সরকারী বনভূমিতে বনায়নের জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারী) বাঁশখালী ইকোপার্কের হল রুমে অনুষ্টিত জলদী অভয়ারন্য রেঞ্জের উদ্যোগে সামাজিক বনায়নের ৩৫ জন উপকার ভোগীদের কে শেয়ার ৪৫% লভ্যাংশের ২৮,৪৬,৮৭১ (আঠাইশ লক্ষ ছচল্লিশ হাজার আটশত একাত্তর টাকার) চেক বিতরন করেন।
উক্ত চেক বিতরন অনুষ্টান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা,থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন,উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এ্যাসিলেন্ড) আরিফুল হক মৃদুল,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান,থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক অাব্দুল গফুর, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন চৌধুরী খোকা,চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক, শীলকূপ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সিকদার,নাপোড়া বন ভিট কর্মকর্তা মাঈনুল ইসলাম,জলদী রেঞ্জ কর্মকর্তা জহিরুল কবির,জলদী ভিট কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম প্রমূখ।