বাঁশখালী টাইমস: দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জুড়ে দেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি উঠেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম সফরকে সামনে রেখে এই দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে অনেকটাই।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬ টি উপজেলা ও কক্সবাজারের ৯ টি উপজেলা এই বিশাল অঞ্চলে আজ পর্যন্ত কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়নি। চন্দনাইশ ও কক্সবাজারে কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক সালাউদ্দীন সাকিব বাঁশখালী টাইমসকে বলেন- চট্টগ্রামের দক্ষিণ অঞ্চল থেকে শুরু করে দেশের সর্বদক্ষিণ সীমানা অর্থাৎ টেকনাফ পর্যন্ত এই বিস্তীর্ণ এলাকায় কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় এ দাবি দীর্ঘদিনের। বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার, আমরা উচ্চ মহল পর্যন্ত এ দাবির যৌক্তিকতা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন- পশ্চিম আনোয়ারা এলাকায় চীনের সহায়তায় একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জোর প্রচেষ্টা চলে আসছিল। তা আন্তর্জাতিক পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা আখতারুজ্জামান চৌধুরী পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় নামে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ দেখা গিয়েছিল। সরকার চাইলে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টা বাস্তবায়ন অথবা ভৌগলিক দিক বিবেচনা করলে বাঁশখালীতে প্রতিষ্ঠা করলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে জনগণ’।
বাঁশখালীতে সম্ভাব্য অবস্থান নিয়ে জানতে চাইলে তিনি পুকুরিয়া চা-বাগান থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ দিকের বিস্তীর্ণ পাহাড়ী এলাকার ৫০ একর এলাকার কথা বলেন।
তাছাড়া গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক গণমাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রামে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা আসলে তা বাঁশখালীতেই করার ক্ষেত্রে মত দিয়েছেন অনেকেই।
চট্টগ্রাম বিএড কলেজের প্রশিক্ষক অধ্যাপক শামসুদ্দীন শিশির বলেন- বাঁশখালীর মতো প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত।
নগর ও নাগরিক সভাপতি লায়ন এম আইয়ুব বলেন- বাঁশখালীতে প্রতিষ্ঠা হলে আনোয়ারা, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও দক্ষিণের পেকুয়া চকরিয়াসহ পুরো কক্সবাজারের অধিবাসী উপকৃত হবে।
উন্নয়ন পেশাজীবী ফেরদৌস সুজন বলেন- বাঁশখালী যেহেতু চট্টগ্রামের মধ্যে প্রত্যন্ত ও অবহেলিত উপজেলা, বিশ্ববিদ্যালয়টি এই অঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করলে উন্নয়ন কর্মকান্ডের ভারসাম্য নিশ্চিত হবে।