তুমি জিতবেই মেয়ে
তান্নি চৌধুরী
মেয়ে!
রাষ্ট্রের প্রতি কোনো প্রত্যাশা রেখো না আর।
গগন বিদারী চিৎকার সয়ে গেছে আমাদের,
ঘৃণা ও ক্রোধের দীর্ঘশ্বাস সয়ে গেছে পীচ ঢালা পথ।
রাষ্ট্রের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই,
আইনের কোনো দায়ভার নেই।
জন্মগত স্বভাবে গুমরে থেকে কিচ্ছু হবে না দেখো!
অভিশাপের, লজ্জার, ক্ষোভের কোনো সমাধান নেই।
বাঁচার মতো বাঁচো কথাটা বেশ পুরনো বটে,
তবে বাঁচার অবলম্বন হয়েই বাঁচো!
একটি বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া বুকের গল্প ভেবে বাঁচো।
প্রিয়মুখের শেষ আর্তির জবাবের জন্য বাঁচো।
বেঁচে থাকো সবকটা বুলেটের প্রতিউত্তর পাওয়া সময়ের।
বেঁচে থাকার চেয়েও প্রয়োজন গড়ে ওঠার।
বুকের ধ্বংসাবশেষ হতে গড়ে তুলো আরেকটি জনপদ।
গড়ে তুলো লৌহ প্রাচীর ঘেরা আত্মবিশ্বাসের পিরামিড।
মেয়ে!
শোক হোক শক্তির,
শোক হোক এই বে-আইনী কালো হাত রুখবার সাহসের।
লড়াই করো মেয়ে,
ভগ্নস্তূপ থেকে আগ্নেয়গিরি উঠুক তোমার শক্তির।
রাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ ও রেখো না মেয়ে!
লাল- সবুজের প্রতি অভিমান পুষে রাখতে নেই।
নিষ্পেষিত হৃদয়ের আশীর্বাদে ভেজাও শরীর।
তুমি জিতবেই মেয়ে!
গুড়িয়ে দেবে অপরাধীর পাষাণ হৃদয়।
কসম রইলো তোমার সইতে না পারা শোকের,
কসম রইলো প্রিয়জনের শেষ কথাটির।
রাষ্ট্রের বুকে খুনির চরণ যেন নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় তোমার প্রতিবাদে।
অসীম সাহসী পদক্ষেপ ও প্রতিরোধে।
আমাদের ক্লান্ত চোখ,
আরো বেশী পরিশ্রান্ত আমাদের এগুবার পথ।
দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বুকে এতটুকু আশ্বাস নেই যেন আমাদের আজ।
এই অভিশপ্ত দিনের শেষে,
উৎকন্ঠার বেহাগ থামিয়ে বাজাও বিজয়ের সুর।