মুহাম্মদ তাফহীমুল ইসলাম-(বাঁশখালী টাইমস)- গ্রীষ্মকাল আসতে না আসতেই বাঁশখালীতে শুরু হয়েছে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা। একদিকে তীব্র তাপদাহে কর্মজীবি মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ। তার উপর বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিং! এ যেন মরার উপর খরার ঘাঁ! একটু হালকা বাতাস এলেই বাঁশখালীর বিদ্যুত উদাও হয়ে যায়। মানুষ রাতে কর্মস্থল থেকে ফিরে ঠিকভাবে ঘুমাতে পারছে না। বিদ্যুতের অভাবে ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায়, ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়। চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা বিদ্যুতের অভাবে পারছে না ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে।
কয়েকদিন ধরে বাঁশখালীর বিদ্যুত ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়- দিনের এক-তৃতীয়াংশ বাঁশখালীতে বিদ্যুত থাকছে না। এমনকি গভীর রাতেও চলে বাঁশখালীর বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা। বৃষ্টি এলে তো আর কথায় নেই। বৃষ্টি এলে আর দেখা মিলে না বিদ্যুতের। ঘন্টার পর ঘন্টা গেলেও বৃষ্টির জেরে যাওয়া বিদ্যুতের আর সন্ধান পাওয়া যায় না। ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন- সরকার বলছে বিদ্যুত উৎপাদন বেড়েছে। তাহলে আমাদের বাঁশখালীর এতো বিদ্যুত যায় কোথায়?
বাঁশখালীর বিদ্যুত ব্যবস্থার অনিয়ম নিয়ে সম্প্রতি বাঁশখালী পৌরসভার বাসিন্দা ও পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনছুর আলী তার টাইমলাইনে লিখেছেন- “গরম অাসতে না অাসতেই চট্টগ্রামের বাশঁখালী
পল্লী বিদ্যুতের ভেলকি বাজি। এই অাসে এই যায়, সরকারী সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না সাধারন গ্রাহকরা। মাঝখানে বাধা দালাল অার হেল্পাররা, সুফল যাচ্ছে তাদেরই ঘরে, সংযোগের কাজ করেই কোটিপতি “।
সাধারণ গ্রাহকরা বাঁশখালীর বিদ্যুত ব্যবস্থার সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন।