বাঁশখালীর তারুণ্যের বিজয়ের সূচনা
-মুহাম্মদ তাফহীমুল ইসলাম

বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়ী একটি জনপদ। এই জনপদ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় অনেক বেশি সমৃদ্ধ। বিশ্লেষকদের মতে- বাঁশখালীর সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও বাঁশখালী তথা বাঁশখালীর মানুষের কোন ক্ষতি হবে না! মাছ, ভাত, লবণ কি নেই এখানে! বাঁশখালীতে সব আছে। কিন্তু জনগণের প্রতিনিধিত্ব করা ইতিবাচক মানসিকতার মানুষের খুব অভাব। বাঁশখালীর জনপ্রতিনিধিরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারলেই বদলে যাবে বাঁশখালী।
বাঁশখালীতে সাম্প্রতিক সময়ে তারুণ্যের যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা নিশ্চয় আনন্দের। ‘দাঙ্গা-হাঙ্গামা মুখর’ জনপদ খ্যাত বাঁশখালী আজ পরিচিতি লাভ করেছে ‘পর্যটন উপজেলা’ হিসেবে। ঐ নেতিবাচক ধারণাটা দূর করার ক্রেডিট বাঁশখালীর তরুণদের। বাঁশখালীর তরুণেরা অনলাইনসহ বিভিন্ন স্তরে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমেই এই সফলতা ঘরে তুলেছে। এই জনপদের তরুণেরা সংঘবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার ফলেই মানুষের মনে সমাদৃত আজকের ইতিবাচক বাঁশখালী।
দুইদিন আগে ঘোষনা করা হয়েছে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম। এই ঘোষণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী করা হয়েছে চৌধুরী মুহাম্মদ গালিবকে। যিনি সাবেক এমপি সুলতানুল কবির চৌধুরীর বড় ছেলে। সুলতানুল কবির চৌধুরী ছিলেন নির্লোভ একজন ব্যক্তি। অন্যায়ের কাছে নত শিকার না করা সুলতানুল কবির চৌধুরীর পুত্র বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী! যোগ্য পিতার যোগ্য উত্তরসূরী। তাছাড়া অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়সে তরুণ একজন মনোনয়ন প্রত্যাশীকে প্রার্থী করার মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে বাঁশখালীর তরুণ সমাজের আশা-আকাঙ্খার। চৌধুরী মুহাম্মদ গালিবকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী করার মাধ্যমে সূচিত হয়েছে বাঁশখালীর তারুণ্যের প্রাথমিক বিজয়। প্রধানমন্ত্রী হয়তো সুলতানপুত্র আর তারুণ্যের দিক বিবেচনা করেই তাকে প্রার্থী করেছেন। সুলতানপুত্রকে প্রার্থী করে তিনি সুলতানুল কবির চৌধুরীর আদর্শকে মূল্যায়ন করেছেন। সুলতানুল কবিরের আদর্শকে নতুনভাবে জাগিয়ে তুলতেই চৌধুরী গালিবের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ। তাই চৌধুরী গালিবকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে; চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলে যাতে কোন অবস্থাতেই পিতা সুলতানুল কবির চৌধুরীর আদর্শ, চেতনায় আঘাত না লাগে। যাই হোক, বাঁশখালীর তরুণেরা নিজেদের একজন প্রতিনিধিকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে আনন্দিত। আগামীতে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদে সেই আনন্দের বিচ্ছুরণ ঘটার প্রত্যাশায়।
লেখক: তরুণ লেখক