তান্নি চৌধুরীর দুটি কবিতা
“নষ্ট অভিমান”
আমিতো সস্তা মানুষ।
নষ্ট মোড়কে বাঁধাই করা অস্পষ্ট মানুষ।
লেপ্টে থাকা ফুলের মতো,
চৈত্রদিনের খাঁখাঁ মাঠের ঘাসের মতো:
হাওয়ায় ওড়া দস্যি ছেলের ঘুড়ির মতো।
কষ্ট সয়ে কেউ আমাকে ডাক দেয়নি,
মুঠো মুঠো সুখের মতো,
বুকের বামে সুখ বিঁধেনি।
ঘরের মাঝে ঘর তোলেনি,
মেনে নেয়নি মনের মতো।
আর কতোকাল কষ্ট দেবে নষ্ট বলে!
রুষ্ট থাকা ভুলে গিয়ে তুষ্ট হবে!
আর কতোকাল ভালোবাসার যুদ্ধ হলে শুদ্ধ হবে!
রুদ্ধ থাকা কপাট খুলে,
ক্ষুব্ধ মানের মান ভাঙাবে!
নষ্ট বলে আর কতোদিন ভস্ম হবে বুকের বাগান!
আর কতোদিন ঘরে আমার ঘর হবে না!
রাতে আমার রাত হবে না;
হাতের মাঝে হাত রবে না!
কতো সময় নষ্ট হলে-
আমার হয়ে ফুল ফোটাবে সংসারেতে।
“দৃঢ়প্রত্যয়”
তোমার চোখে আগুন কোথায়,
কুসংস্কার উচ্ছেদের।
হন্তদন্ত ছুটছ শুধুই
দুঃখ চেপে বিচ্ছেদের।
শাসন-ভাষণ ত্যাজ্য করে,
প্রতিবাদে হও আগুয়ান।
যন্ত্রণাকে মন্ত্রবলে,
বাঁচতে শেখো পাহাড় সমান।
রুক্ষ মেজাজ বক্ষে চেপে,
রইবে পড়ে আর কতো দিন।
অজুহাতের দীর্ঘশ্বাসে
বাড়বে কেবল বিবেকের ঋণ।
সভ্য হয়ে মুখোশধারী,
আর কতো যুগ দেবে ধোঁকা।
নষ্ট সময় দোহাই দিয়ে,
উগ্র দ্বারে দেবে টোকা।
ভাঙবে কবে ভুলের তালা
ভ্রষ্ট পথের ডাক এড়িয়ে।
রুখবে কবে কালো থাবা
বৈষম্যের স্রোত কাটিয়ে।
নৈতিকতার আলো জ্বেলে,
আমরা কবে মানুষ হবো।
শোক- সন্তাপ বিভেদ ঝেড়ে,
মানবতায় বেঁচে রবো।