কেউ একজন
তান্নি চৌধুরী
কতদিন হলো আপনাকে দেখি না মহাত্মন!
তিনশো পঁয়ষট্টি এবং পাঁচের গুণফল যত ঠিক ততদিন।
তখন আপনার উঠতি বয়সের নিখুঁত অবয়ব।
চঞ্চল চোখে গাম্ভীর্যপূর্ণ কারুকাজ।
ঠোঁট নিঃসৃত মৃদু বাক্যের কৌশল মুখস্থ করেছি কতোবার!
কতো যুগ যেন দেখি না আপনাকে।
আমাদের কী আর দেখা হবে না মহাত্মন?
এখন আমার ভ্রু জোড়া আগের চেয়ে সভ্য হয়েছে।
সীমাবদ্ধতা এসেছে বিরতিহীন কথার স্রোতে।
প্রজাপতি দিন পেরিয়ে শান্ত শালিক ঘরে ফিরেছে।
সম্পর্কের দড়ি বেয়ে উঠতে চাওয়া মানুষটির সাথে দেখা না হওয়াই ভালো।
তাই বলে আমাদের আর দেখা হবে না তাই না মহাত্মন?
শুনেছি চশমার ফ্রেমে নতুনত্ব এসেছে।
মাঝারি চোখে নীল রঙ বেশ মানিয়েছে জানি।
অথচ আমার ভালো লাগে সেই পিঙ্গল ফ্রেম।
স্মৃতির দেয়ালে জড়িয়ে থাকা মায়া চাহনি।
দেখা হলে আর ক্ষতি নেই মহাত্মন।
ভালোবাসার উৎসব পেরিয়ে গেছে।
চৌকাঠ রাঙানো গোধূলী মুছে রাত এসেছে।
এখন আমাদের প্রাপ্ত বয়স।
সংযম ও সহনশীলতা গ্রাস করে নিয়েছে ইচ্ছের যতো রঙ।
অতএব আমাদের দেখা হওয়া যেতেই পারে মহাত্মন।