বাঁশখালী মেডিকেলের ডাক্তারদের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরছেন কিছু সাংবাদিক। এতে সেই ডাক্তাররা ক্ষেপে থাকলেও এই সাংবাদিকেরা থেমে নেই। সাধারণ মানুষের তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে সেই সাংবাদিকেরা নানা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। সেই কথাগুলো ফেসবুকে তারা নিজস্ব ভাষায় তুলে ধরছেন। হুবহু আমরাও তুলে ধরলাম তাদের স্ট্যাটাস।
“তাদের ভাষায় দালালি করেছি আজ। মহাদালালি। এক রোগীকে ৩টাকা সরকারি ফিতে চিকিৎসা পেতে সহযোগিতা করেছি। এরচেয়ে বড় দালালি কি হতে পারে। বাঁশখালীর স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে যত পারবো তত দালালি করবো। আসুন সবাই মিলে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে দালালি করি।
হাসপাতালের অফিস সময়ে প্রাইভেট চেম্বারে এক রোগী। চিকিৎসকের নিয়োজিত দালাল (সামনাসামনি দালাল ডাকায় আবার রাগও করেছেন) ওই রোগীকে (বয়স্ক মহিলা) কে তিনতলার চেম্বারের (চিকিৎসক ছিলেন না) বাইরের সিটে শুইয়ে রাখেন। চিকিৎসক না থাকলেও আমি ওই রোগীকে সেখানে রাখার কারন জানতে চাইলে বলেন, রোগী নিজ থেকে সেখানে থাকলে আমি কি করতে পারি। তিনতলা ভবনের প্রাইভেট চেম্বার থেকে নামিয়ে হাসপাতালে মাত্র ৩ টাকায় সরকারি ফিতে চিকিৎসা পেতে সহায়তা করেছি। যাবতীয় টেস্ট বাদ দিলে গরীব এ রোগীর বাঁচলো কমপক্ষে ২৯৭ টাকা। মাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে পেরে রিকশাচালক ভাইটি বেশ খুশি হয়েছেন।
অফিস চলাকালীন চিকিৎসকের চেম্বার বন্ধ, হাসপাতাল গেইটের ল্যাব ও চিকিৎসকের মনোনীত দালালরোধে প্রশাসনের ভূমিকা চাই। বিশেষ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক জনাব Hasan Shahriar Kabir যেভাবে কর্মতৎপরতা চালাচ্ছেন এখানেও আশা করি পরিবর্তন আসবে। স্থানীয় প্রশাসন চাইলে সহজেই হাসপাতালের পরিবেশ পরিবর্তন করতে পারে। সেই সাথে যেসব চিকিৎসক দালাল পালন করেন, নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
রাহুল দাশ
স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক পূর্বদেশ
