আরকানুল ইসলাম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলে জিএস পদে জয় পেয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আফসানা ছপা। তিনি কোটা আন্দোলনের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথরিয়া ইউনিয়নে।
তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ও বিভিন্ন নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনে সামনে ছিলেন।
বাঁশখালীর কৃতিমুখ আফসানা ঢাবির বাণিজ্য বিভাগের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের শিক্ষার্থী। শুরু থেকেই তিনি বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি জনপ্রিয় রক্তদাতা সংগঠন “বাঁধন” হল ইউনিটের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং একজন নিয়মিত ব্লাড ডোনার।
আলোকিত শিশু” এর ক্যাম্পাস ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। বানিজ্য অনুষদকেন্দ্রিক প্লাটফর্ম “পোডিয়াম” এর একজন সাবেক ক্যাটালিস্ট তিনি। এছাড়াও হল ইউনিটের একজন রেঞ্জার তিনি। স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে জিএস পদে জেতার মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করে অভিনন্দনে ভাসছেন বাঁশখালীর এ কৃতিমুখ।
নির্বাচনের আগে তিনিসহ তার প্যানেল যেসব ইশতেহার দিয়েছিল তা হলো, হলের সামনে বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রণ এবং ছাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দেয়া, রিডিংরুম এবং হল অভ্যন্তরে কলাবসিবল গেইট ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা, তিন ভবনে অগ্নি নির্বাপক স্থাপন, হলের ভবনগুলোয় ২৪ ঘন্টা পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা, হলের আয়-ভ্যায়ের খাত ছাত্রীদের সামনে তুলে ধরা, ডায়নিং-ক্যান্টিনের খাবারের মান বৃদ্ধি ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষার্থীদের মায়েদের হলে প্রবেশের ব্যবস্থা করা, গেস্টরুমের প্রবেশাধিকারে পুরোপুরিভাবে রোধকরণ, হলের স্টোরের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, হল অভ্যন্তরে ফার্মেসি ও হল পরিচ্ছন্ন রাখতে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ- এসব ছিল তাদের প্রতিশ্রুতি।
মেয়ে হলগুলোর মধ্যে এ হলটিতে সম্পুর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং নির্বিঘ্নে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলে স্বতন্ত্র (কোটা সংস্কার প্যানেল) থেকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ঢাবিসহ পুরো বাঁশখালীবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কাথরিয়ার মেয়ে আফসানা ছপা ইমু।
