মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: খানখানাবাদ এলাকার ইশ্বর বাবুর হাট এলাকার পশ্চিম পার্শ্বে শঙ্খ নদী থেকে ৩ টি ড্রেজার মেশিনের মধ্য একটি তে প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রতিনিয়ত বালি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রমতে, উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন খানখানাবাদ ইশ্বর বাবুর হাট থেকে পশ্চিমে প্রায় এক কিলোমিটার জুইদন্ডি ঘাটের মাথা পযর্ন্ত এমনিতেই ভাঙ্গন কবলিত। তার ওপর প্রতিনিয়ত ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার কারণে শঙ্খ নদীর ভাঙন বেড়ে যেতে পারে।
অবৈধভাবে শঙ্খ থেকে বালু উত্তোলনে গত শনিবার ২৩ ডিসেম্বর রায়ছটা চৌধুরী হাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুর রহমানের নেতৃত্ব একদল পুলিশ ইশ্বর বাবুর হাট থেকে ২ টি বালুবোঝাই ড্রেজার সহ ৪ শ্রমিকে আটক করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চৌধুরী হাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন,অবৈধ ভাবে শঙ্খ নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে আমি এবং সঙ্গীয় সোর্সেস সহায়তায় ২ টি বালু বোঝাই ড্রেজার ও ৪ শ্রমিকে আটক করে থানায় সোফার্দ করি। পরিবর্তীতে কি হয়েছে আমি জানি না।
স্হানীয় প্রভাবশালী মহল বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত থাকলেও প্রসাশন নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে। কোন রকম সরকারী অনুমোদন ছাড়া পরিবেশের ক্ষতি করে বালু উত্তোলন করায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী বলেন,বালি গুলো উত্তোলন করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জানি না, তবে শুনা যাচ্ছে এসব বালি বেড়িবাঁধের ব্লক নির্মাণের কাজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে শঙ্খের পাড় ভেঙ্গে দিন দিন খাটো হয়ে যাচ্ছে। যে কোন মুহুর্তে বর্ষায় এই বাঁধ ভেঙ্গে পানি লোকালয়ে ডুকে পড়বে।
গতকাল সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টার দিকে খানখানাবাদ ইশ্বর বাবুর হাট এলাকার পশ্চিম পার্শ্বে গিয়ে দেখা যায়,বঙ্গোপসাগরে মিলিত হওয়া মোহনার কাছাকাছি স্হানে জুইদন্ডি ঘাটের পূর্বে এসব ড্রেজার গুলো বসানো হয়েছে। উত্তোলনকৃত বালু গুলো শঙ্খের পাড়ে স্তপ করে রাখা হয়েছে। প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলনের ফলে শঙ্খের ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে নদী থেকে একটি ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
এতে ভাঙন আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
ইশ্বর বাবুর হাট এলাকা শঙ্খ নদীর ভাঙনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই এলাকার সড়ক, অনেক বসতভিটা ও দোকান এরই মধ্যে নদে বিলীন হয়ে গেছে।
এদিকে ইশ্বর বাবুর হাটের পশ্চিম পার্শ্বে অবৈধ ভাবে সরকারী অনুমোদন না নিয়ে পরিবেশের ক্ষতি করে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ছবি সংবাদ কর্মীরা তুলতে গেলে বালু উত্তোলনকারীদের একজন সাংবাদিক দের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। ছবি তুলতে বাঁধা প্রধান করে।
এ বিষয়ে খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরুউদ্দীন চৌধুরীর মুটোফোনে বেশ কয়েকবার রিং দেওয়া হলে ও মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
বালু উত্তোলনের বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে কারা কারা এসব বালু উত্তোলন করছে তা চেয়ারম্যান কে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বলা হবে।অন্যথায় আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে হবে।