মুহাম্মদ মুহিববুল্লাহ ছানুবী: বাঁশখালীর টর্নেডো ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সহস্রাধিক পরিবার ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
গত সোমবার পশ্চিম বড়ঘোনা সকাল বাজার এলাকায় স্মরণকালের ভয়াবহতম টর্নেডোতে আক্রান্ত পরিবার গুলোর মধ্যে গন্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লেয়াকত আলী নগদ ৬ লাখ টাকা বিতরণ করেছেন। তিনি টর্নেডো ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে দ্রুত সরকারী ত্রাণ বিতরণেরও দাবী জানান।
গত সোমবার পশ্চিম বড়ঘোনা সকাল বাজার এলাকায় ‘এক মিনিট’র টর্নেডোর আঘাতে ৭০টি দোকান ও ৩শ ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী বলেন, “গন্ডামারা ও বড়ঘোনার সবকটি চিংড়ী ঘের ভেসে গিয়ে ১০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে, বাংলাবাজার ও গন্ডামারা ব্রীজ এলাকার ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট।
একইরকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছনুয়া, খুদুকখালী, পুঁইছড়ী, শেখেরখীল, সরল, কাথারিয়া, খানখানাবাদ, পুকুরিয়া, সাধনপুর, কালীপুর, বৈলছড়ী, পৌর এলাকা জলদী, শীলকুপ ও চাম্বল।
ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, পুঁইছড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান-উল-গনি চৌধুরী লেদুমিয়া, শেখেরখীল ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াছিন,চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুলহক চৌধুরী, শীলকুপ ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন, সরল ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী, বৈলছড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, কাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান চৌধুরী,খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান বদরুদ্দিন, পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিন, সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খোকা, কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড,শাহাদত আলম জানায়, তাদের ইউনিয়নে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢল ও সামুদ্রিক জোয়ারের পানিতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।