বাঁশখালী উপজেলায় জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের আশঙ্কায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বাঁশখালী সমিতি চট্টগ্রাম।
এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন- ‘বাঁশখালী উপজেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সকল উপাদানে ভরপুর স্রষ্টার এক অনন্য সৃষ্টি। পূর্বে বিরাজমান উঁচু-নিচু অসংখ্য পাহাড়, পশ্চিমে সুবিশাল বালিকারাশি, বিস্তৃত সমুদ্র সৈকত পূর্ণাঙ্গ পর্যটন উপজেলার প্রাকৃতিক রসদ।
ঝাউবন ও সবুজের গালিচা অনন্য সংযোজন হয়ে দিয়েছে সুন্দরের নান্দনিক মাত্রা। চা বাগান, ইকোপার্ক, সমুদ্র সৈকত, তারেক পার্ক ও পাহাড়ি বন জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য প্রজাতির সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য৷ এই জীববৈচিত্র্য প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার অনিবার্য নিয়ামক। অত্যন্ত দুঃখ ও উদ্বেগের সাথে বলতে হয় অতি সম্প্রতি কাথরিয়া ইউনিয়নের বাগমারায় সরকার ঘোষিত বিপন্ন প্রজাতির মেছো বাঘ হত্যা করে বুনো উল্লাসের খবর বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনে ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে। যা আমরা মনে করি বাঁশখালীর জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের জন্য হুমকি স্বরূপ। এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজের মাঝে জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে যথাযথ সচেতনতামূলক কর্মসূচির অভাবে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটতে পারে।
আমাদের প্রত্যাশা অবিলম্বে উপজেলা প্রশাসন, বন বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, শিক্ষক সমাজ ও সামাজিক সংগঠনগুলো জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এগিয়ে আসবে ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করবে।’
বিবৃতিদাতারা হলেন- বাঁশখালী সমিতি চট্টগ্রামের সভাপতি প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, সিনিয়র সহ সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন মনসুর, সাধারণ সম্পাদক লায়ন এম আইয়ুব, অর্থ সম্পাদক লায়ন নাসিমুল আহসান চৌধুরী জুয়েল, সহ সাধারণ সম্পাদক নাফিজ মিনহাজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওবাইদা আরাফাত।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি