জীবন ও কর্মে নজরুল
মুহাম্মদ ইশতিয়াক আলম অনিক
কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালের ২৫ শে মে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ফকির আহমেদ এবং মায়ের নাম জায়েদা খাতুন।
মাত্র ৮ বছর বয়সে পিতৃহীন হয়ে নিদারুণ দুঃখ-কষ্টের মধ্যে সহায়-সম্বলহীন অবস্থায় তার বাল্যকাল অতিবাহিত হয়।এজন্য শৈশবে তার নাম রাখা হয়েছিল ‘দুখু মিয়া’।
● ছোট বেলায় তিনি লেটো গানে যোগ দেন। ১৯১৭ সালে তিনি সেনাবাহিনীর বাঙালি পল্টনে যোগ দিয়ে করাচি যান। সেখানে তার সাহিত্য জীবনের সূচনা ঘটে। তার লেখায় তিনি সামাজিক অবিচার ও পরাধীনতার বিরূদ্ধে সোচ্ছার হয়েছেন। এ জন্য তাকে বিদ্রোহী কবি বলা হয়।
নজরুলের সম্পাদিত ‘ধূমকেতু’ পত্রিকায় রাজদ্রোহের গন্ধ পেয়ে ব্রিটিশ সরকার পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ করে দেয় এবং কবিকে কারাগারে বন্দী করে।বন্দী অবস্থায় তিনি বিপুল উদ্যমে ‘ভাঙার গান’ ও ‘বিষের বাঁশী’ নামক দুটি বিদ্রূপাত্মক কাব্য রচনা করেন ।
‘বিষের বাঁশি’ ও ‘ভাঙ্গার গান’ সহ ‘প্রলয়শিখা’, ‘চন্দ্রবিন্দু’, ‘যুগবাণী’ মোট ৫ টি নিষিদ্ধ গ্রন্থ নামে পরিচিত।
● বিদ্রোহী” কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় – ‘সাপ্তাহিক বিজলী’র ২২ পৌষ(১৩২৮) সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
যেটার প্রতি বিস্মিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন,”আমি মুগ্ধ হয়েছি তোমার কবিতা শুনে,তুমি যে বিশ্ববিখ্যাত কবি হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই”।
● কাজী নজরুল ইসলামকে স্থায়ীভাবে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় – ১৯৭৪ সালের ২৩ মে।তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় – ১৯৭৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী।
●কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কবিতা – মুক্তি।
●কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস – বাঁধনহারা।●কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম গল্প – হেনা।
● তার কাব্য গুলোর মধ্যে অগ্নিবীনা,বিশের বাশি,ছায়ানট,প্রলয় শিখা,চক্রবাক,সিন্দুহিন্দোল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করেন – কবি বিপ্লবী শ্রী বারীন্দ্র কুমার ঘোষ কে।
তার উপন্যাস ব্যাথার দান,শিউলীমালা,মৃত্যুক্ষুধা ইত্যাদি। তার প্রবন্ধ যুগবানী ও রাজবন্দী উল্লেখযোগ্য।২৯ শে আগস্ট ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকার পি.জি. হাসপাতাল (শেখ মুজিবুর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।