খোলা চিঠি-৭
মাননীয়,
সাবেক মন্ত্রী আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী চাচা ।
বাঁশখালী,চট্টগ্রাম।
পত্রের শুরুতে সালাম ও মোবারকবাদ নিবেন আশা করি মালেক শাহ বাবাজির দোয়ায় ছহিছালামতে আছেন ।
আমরা বাঁশখাইল্লারা ও আপনার দোয়ায় এবং মোস্তাফিজুর চাচার দেয়া টেকসই বেড়ীবাধঁ এর কল্যাণে দেশ ছাড়িয়া পূর্ব দিকে না দৌড়াইয়া নিজ দেশে চাষাবাদ করিয়া সামনে নবান্ন উৎসব করার আগ্রহে খোশ মেজাজে আছি।
চাচারে সাগরে সিগন্যাল দিলে আপনার চাচি গাট্টি গোট্টা নিয়া এরেন্ডা গাছের লাঠি ধরিয়া পাহাড়ের দিকে ছুটিয়া যাইত আমি কৌতুহলী হইয়া জানিতে চাইতাম এত গাছ থাকতে এরেন্ডা গাছ ক্যান? আপনার চাচি অতি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিত পথে যদি মরি এই লাঠি কবরের নিশানা হইবে। শুনিয়া হাসিতাম আর মনে মনে পুলকিত ও হইতাম আদ্দুইয়া ঘটক এখনো বাঁচিয়া আছে বলে।যাক সেই সব।
চাচা আপনি বাঁশখালীর চার চারবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ক্ষেমতায় না থাকিলেও বাঁশখালীর মানুষের আপনার নিকট আবদারের শেষ নাই ।
নেত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থী দেখিতে যাওয়ার সময় ব্রীজের নিকট জনতার যে সমাবেশ ঘটাইলেন তাহা তুলনা করিবার মত নহে।
তয় মানুষ একটু ভিমরি খাইয়াছে লেয়াকত চাচার ব্যানারের নিচে কমরু চাচা আর ইব্রাহিম চাচারে দেখিয়া।
আপনার বানাইয়া গোলা ছাত্রদলের চাপাছড়ির শহিদ চাচারে লেয়াকত চাচার লগে দেখিয়া আধ ঘণ্টা মাথায় পানি ঢালিল আপনার চাচি । চাচারে কর্মী হইলে ডোংরার ছাত্রদলের শহিদের মত হওয়া লাগবে এই আওয়ামী সিষ্টেমের সময় ও রাজপথ ছাড়ে নাই আপনার লগে ও কোন দিন বেঈমানি করেনাই । চাচা আপনার দলের লোকজন আবার গ্রুপ রাজনীতির দিকে ধাবিত হচ্ছে এক্ষুনি লাগাম টানিয়া না ধরিলে নির্বাচন কালে কঠিন অবস্থা সৃষ্টি হইবে । সেদিন আপনার দলের সত্তার মিয়া কইলো আপনার দলের এক গ্রুপ রশিদ ক্লাবে আরেক গ্রুপ সাগর পাড়ে । চাচা এতদিন লীগের প্যাদানীতে কেউ রাস্তায় বের হয়নাই লীগেরপুলিশ ঝিমিয়ে পড়িলে এরা গ্রুপ সাইনবোর্ড খুলিয়া বসিয়াছে ।
চাচা আপনার দলের সবতে জানা উচিত দক্ষিণ চট্টগ্রামে আপনার সুপারিশ ছাড়া কেহ পুলছেরাত পার হইতে পারিবেনা সেখানে বাঁশখালীতে গ্রুপ করিয়া লাভ নাই । নন্নাইয়ার বর পোয়া জামাইল্লা কইলো বাঁশখালীর নমিনেশন আপনি না নিলেই কেবল অন্য কারো চিন্তা ভাবনা করিবে তয় চাচা বাশঁখালীতে লীগের ভোট বেশি, ভোটের রাতে লীগের কিছু নেতা আপনারে ভালবাসে বইল্লা আপনার কপাল টা ছাদকী হইয়া যায় । চাচা এখন হইতে জহির চাচার লগে যাচিয়া কথা বলে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটান শেষ পর্যন্ত জহির চাচায় বাঁশখালীর কুড়ি দলীয় জোটের ট্রাম কার্ড খেলিবে । দেখিয়েন জামাতী চাচা গো মারাত্মক ঘাড় তেড়া এরা একবার ঘাড় ফিরাইলে আর সোজা করেনা ।
চাচা যে যাই বলুক শেষ পর্যন্ত লীগের টিকেট এই মোস্তাফিজুর চাচায় হাসিল করিবে সে গত ভোটে যে ভাবেই নির্বাচিত হউক না কেন এবার একটা অবস্থান সৃষ্টি করিয়াছে । শুনিলাম হাসিনা চাচী নাকি বাঁশখালী উপস্থিত হইয়া লীগের সবটিরে একখানে ডাকিয়া এই মিয়ারে এম পি বানাইয়া দিতে বলিবে । চাচা এই রূপ হইলে আপনার পার পাওয়া সহজ নাও হতে পারে । তয় মামুদু চাচার জন্য চিন্তা করিয়া লাভ নাই হেতে মহাজোট হইতে নমিনেশন পাইলেও নৌকা ওয়ালারা আপনার ধানের কোণায় সিল মারিয়া ধন্য হইবে ।
চাচা মনে রাখবেন একজন ত্যাগী কর্মী এক হাজার ভোটের সমান খানখানাবাদে জাহেদ রে ডাকিয়া তার মনের বেদনা শুনিয়া যা করার ঠিক করিয়া দেন ।
হেই মিয়া আবার ফটোশেসন করিতেও ভালবাসে সেইদিন দেখলাম লেয়াকত চাচারে মাঝখানে বসাইয়া ছবি উঠাইয়া নেটে ছাড়িয়া দিছে তয় চাচা লক্ষণ ভাল ঠেকছে না ।একটু খোঁজ খবর নেন ।
চাচারে পুরো বাঁশখালীতে আপাতত কোন কমিঠি দিয়েন না পুরোনো কমিটি গুলারে তেল তুল মাজিয়া ঠিক করেন এবং পাশাপাশি উপকমিঠি বা ছায়া কমিটি দেন নির্বাচনের পরেই কিন্তু নতুন কমিটি করিবেন অন্যথায় লীগের মত প্রতি ইউনিয়নে আট দশটা কমিটি হইয়া যাইবে আর গ্রুপ ওয়ালা বাবাজিদের পোয়া বারো হইবে ।
চাচা লিয়াকত মিয়ারে বুঝান দল ক্ষমতায় আনিতে হইলে গ্রুপ রাজনীতি চলবেনা এই সহজ কথা না বুঝার মানুষ সে নয় । ইব্রাহিম চাচারে ঠিক করিলে বোধহয় গ্রুপ ট্রুফ শেষ হইয়া যাইবে এ বিষয়ে ভাবিয়া দেখিবেন ।
চাচা রাজনীতিতে ভুল যেমন আছে শুদ্ধ ও আছে কিন্তু আপনার দল পরিচালনায় ভুলের সংখ্যাই বেশি । সবাইরে ডাকেন দলের দুঃসময়ের কথা বলিয়া এক কাতারে নিয়া আসেন ।
মনে রাখবেন কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙ্গিতে ভাঙ্গিতে যেন লংকায় আগুন ধরিয়া না যায় । আপনার নেত্রী লীগের আওতায় হলেও যে নির্বাচনে যাবে এটা হলফ করিয়া বলা যায় ।সুতরাং এখন হইতে কাজে নামিয়া পড়েন ।
অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় লীগের পুলিশ আগের চাইতে একটু শান্ত হইয়াছে ।
এ সুযোগে কাজে নামিয়া
পড়েন।
চাচা অনেক দিন ভাবনা চিন্তা করিয়া দুকথা লিখলাম সময় নিয়া পড়িলে দিলে বড় শান্তি পাইতাম ।
আজকের মত বিদায় নিলাম ।
ইতি
সরল মিয়া
ডোংরা বাঁশখালী।