নজরুল ও বঙ্গবন্ধু

জাতীয় চেতনার কান্ডারী নজরুল ও বঙ্গবন্ধু

জাতীয় চেতনার কান্ডারী নজরুল ও বঙ্গবন্ধু : প্রাসঙ্গিক বিবেচনা
♦আবু ওবাইদা আরাফাত

একটি জাতির অহংকার ও গৌরবের ঠিকানা হলো তার স্বীয় সংস্কৃতি ও জাতীয়তাবোধ। বাংলাদেশে এ ব্যাপারটা আরো বেশি মহিমান্বিত এবং গর্বের এ কারণে যে আমাদের সংস্কৃতির মূল বিকাশটা সূচিত হয়েছে উপমহাদেশের দুই বিখ্যাত কবির হাত ধরে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে আমরা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারার ইতিহাসে বিকৃতির প্রলেপ দিয়ে যাচ্ছি!

বিশিষ্ট কলামিস্ট এবনে গোলাম সামাদের এক কলামে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তিনি লিখেছেন–” শেখ মুজিব ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে রবীন্দ্রনাথকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি না করে কাজী নজরুল ইসলামকে করেছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি নজরুলের একটি গানকে করেছিলেন এ দেশের রণসঙ্গীত। এভাবে শেখ মুজিব চেয়েছিলেন, রবীন্দ্রনাথকে এড়িয়ে আমাদের জাতীয় স্বাতন্ত্র্যবোধকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে। তিনি মনে করেননি, রবীন্দ্রনাথ হলেন আমাদের জাতীয়তাবোধের উৎস। যেমন এখন ভাবছেন আওয়ামী লীগের বেশ কিছু বুদ্ধিজীবি। রবীন্দ্রনাথ কোনো দিনই ছিলেন না বাঙালি জাতীয়তাবাদে আস্থাশীল। তিনি ছিলেন ভারতীয় জাতীয়তাবাদের পক্ষে”

তিনি আরেক জায়গায় লিখেছেন, ” শেখ মুজিব রবীন্দ্রনাথকে জাতীয় কবি বলতে চাননি। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। তাকে প্রদান করেন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব। তিনি নজরুলকে ঘোষণা করেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি, রবীন্দ্রনাথকে নয়”

পরিশেষে, আমরা যেন কারো অবদানকে খাটো না করি, সত্য ইতিহাস জানা সকলের জন্যই জরুরী। কাজী নজরুল ইসলামের মধ্যেই খুঁজতে হবে আমাদের জাতীয় পরিচয়কে।

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *