মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: বাঁশখালীতে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের উদ্যোগে
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪২তম শাহাদাত বার্ষিক উপলক্ষে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল ১৯ আগস্ট ( শনিবার) ২০১৭ ইং মরহুম আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবু স্মৃতি সংসদের ব্যবস্থাপনায় বিকাল ৫ টায় বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে র্যালী পরবর্তীতে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাঁশখালী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মৌলবী নুর হোসেনের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা যুবলীগের সদস্য জাহেদ আকবর জেবুর সঞ্চালনায় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুকের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সদস্য আলহাজ্ব আব্দুলহ কবির লিটন।
এতে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জনতা ব্যাংক সিবিএর সাবেক সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দীন জসিম , বাবু রনতোষ দাশ, শাহাদত রশিদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদিকা দিলুয়ারা কায়েস চৌধুরী সুমি, নুরীমন আক্তার, হাসান মুরাদ, কর আইনজীবি সমিতির সদস্য শেখর দত্ত, মোরশেদ আলম, ব্যাংকার আবুল কাশেম, পুঁইছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কপিল উদ্দীন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য আরিফুজ্জান আরিফ, ছনুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাবিব উল্লাহ, বাঁশখালী উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রাশেদ আলী, বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বখতেয়ার উদ্দীন করিম, খানখানাবাদ ইউপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গাজী সিরাজুল মোস্তফা, বাঁশখালী থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক খোরশেদ আলম(পাশা)।
অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গন্ডামারা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকেরুল হক সিকদার, সাধনপুর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আলী,সরল ইউপির সাবেক মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেতা জাকের আহমদ,শীলকূপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মোহছেন আহমদ,শফি আহমদ কোম্পানী,বাঁশখালী উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি ও বৈলছড়ি ইউপি সদস্য এম জামাল উদ্দীন,বাঁশখালী পৌরসভার কাউন্সিলর হারুনুর রশিদ, বাঁশখালী উপজেলা তাঁতী লীগের সাধারন সম্পাদক হানিফ চৌধুরী , ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর চৌধুরী , বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিসুল হক চৌধুরী আদিব, সহ সভাপতি চৌধুরী নাজিমুল হক,পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মো:সিরাজ, উপজেলা যুবলীগ নেতা মাহমুদুল ইসলাম বেদু, বাঁশখালী পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মাদ হারুন, কালীপুর ইউনিয় যুবলীগ নেতা ডাঃরমিজ, বাঁশখালী থানা ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সাধারন সম্পাদক ফারুক উদ্দীন সিকদার জিহান,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল ওয়াজেদ,শ্রমিক লীগের সাধারন সসম্পাদক মোহাম্মাদ মাসুদ,চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ হোসাইন,মোহাম্মাদ হামিদ উল্লাহ হামিদ,ছাত্রলীগ নেতা অমিয় বড়ুয়া,ছাত্রলীগ নেতা ইমরানুজ্জামান চৌধুরী ইমন,পৌর যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক ওমর,ছাত্রলীগ নেতা রহিম উদ্দীন হুদয়,৪নং বাহারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আনিসুল হক চৌধুরী,কালীপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল আওয়াল ইমন,ছাত্রলীগ নেতা রিপন,জয়নাল আবেদীন,পৌর ছাত্রলীগ নেতা লিটন আচার্য্য,রুদ্র,ছাত্রলীগ নেতা রওশনুজ্জামান,পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি মাইমুনুর রহমান,সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান,গন্ডামারা আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মালেক,ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম উদ্দীন, প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ কবির লিটন বলেন, জাতির অগ্রযাত্রা রুখতেই জাতির জনককে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়েছে। যারা জাতির জনক হত্যাকারীদের রক্ষা করতে ইনডেনিটি অধ্যাদেশ জারি করে তৎপরতা চালিয়ে ছিল তারাই মুল পরিকল্পনাকারী। তাদেরও বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন। যারা জনগনকে নিজের জন্ম তারিখ নিয়ে বিভ্রান্ত করে তাদের প্রতি বিশ্বাস রাখবে কি করে। তাই এই শোকের দিনে আমরা শপথ গ্রহন করি বাংলাদেশে যাতে এ অপ-শক্তির আর উত্থান না ঘটে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রুপকল্প ২০২১ পূরনে তৃনমূলের নেতাকর্মীদের এক কাতারে কাজ করতে হবে।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সূখী সমৃদ্ধ জাতি গঠন তথা অবহেলিত বাঁশখালীর উন্নয়নে সকল ভেদাভেদ ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। তিনি জাতির জনকের এই প্রিয় ভুমিকে বিশ্বের দরবারে একটি সম্মানের আসনে অধিষ্টিত করেছেন।
জাতির জনক স্বাধীনতা এনেছেন। এখন তাঁর সুযোগ্য মেয়ে বাংলাদেশকে দিন দিন সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তারি ধারবাহিকতায় বাংলাদেশ কে সোনার বাংলা হিসেবে উপহার দিতে আগামীতে আবারো পুনরায় শেখ হাসিনার সরকার গঠন করার জন্য এবং আগামীতে যেই সংসদ নির্বাচন অনুষ্টিত হইবে সে নির্বাচনে বাঁশখালীতে নৌকার প্রার্থীকে বিজয় করার জন্য সবার সহযোগীতা কামনা করেন। ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। তাই ওই নির্বাচনে আমাদের তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হয়নি। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করতে হলে মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে হবে। দলের ভেতরে কিছু হাইব্রিড ঢুকে গেছে। ওরা দলের ক্ষতি করতে পারে। ওদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। সবার চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।’
তাই বাঁশখালীকে অপরাজনৈতিক মুক্ত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরো আরো বলেন, জনপ্রতিনিধিরা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে জনগণের টাকা লুটপাট করে খাচ্ছে। বর্তমান সরকার যে হারে উন্নয়ন ও জনগনের জন্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন তা অধিকাংশ মানুষের কাছে পৌছানো হচ্ছে না। গুটি কয়েক নব্য আওয়ামীলীগ নেতারা সরকারের বরাদ্দগুলো নিজের নাম ব্যবহার করে সাধারন মানুষের কাছে সুবিধা আদায় করছেন। তারা সরকারের গুণগাণ না করে নিজের গুনগান গেয়ে যাচ্ছেন। এই অপরাজনৈতিক ব্যাক্তিদের আ.লীগ থেকে বিদায় করতে হবে। এসব কর্মকান্ড প্রতিরোধ করতে আগামীতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামীলীগের নিবিদিত ত্যাগী নেতা-কর্মীদের আরো শক্তিশালী হওয়ার পাশাপশি মন দিয়ে লেখাপড়া করার নির্দেশ দেন এবং বাঁশখালীর বেড়িবাঁধের জন্য সরকার ২ শত ৫১ কোটি বরাদ্দ দেওয়া হলেও সেই কাজের কোন অগ্রগতি হচ্ছে না। গোটা বাংলাদেশে সহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের অধিকাংশ থানায় সরকারের উন্নয়নের চিত্র দেখা গেলে ও তদুপরি বাঁশখালীর সেই রকম কোন উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে না। এসময় কর্মিদের উদ্যেশ্যে তিনি আরো বলেন, ভোগের রাজনীতি করবেন না, দেশের সাধারণ জনগনকে ভালবেসে জনগনের জন্য রাজনীতি করুন এটাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি, আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হোন এবং সাবধান থাকুন কারণ ঘাতকেরা এখনো ওৎপেতে আছে রক্তের হোলি খেলার অপেক্ষায়, জনগনকে সাথে নিয়ে ব্যালটের মাধ্যমেই ঘাতকদের প্রতিহত করতে হবে তাহলেই আসবে প্রকৃত বিজয়।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে জাতি গঠনে ভুমিকা রাখতে হবে। আলোচনা সভা শেষে ১৫ আগস্টে শাহাদৎ বরণকারী সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল মোনাজাত পরিচালনা করেন।