নিজস্ব সংবাদদাতা ধীমান দাশ (শাওণ) বাঁশখালী
চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসদরের জঙ্গল জলদী গ্রামে মন্দির সংলগ্ন পাহাড়ের পাদদেশে গণধর্ষনের শিকার হয়েছে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রী। গণধর্ষনের শিকার ওই ছাত্রীকে সোমবার বিকালে বাঁশখালী হাসপাতাল হতে চমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন লিখিত এজাহার পেয়েছি উল্লেখ করে জানান, ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে আটক করতে এলাকায় হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ। এ পর্যন্ত কাউকে আটক করা না হলেও অভিযুক্ত সকল আসামীর পরিবারকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
প্রাণনাশের ভয়ে সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলতেও নারাজ ওই নিরীহ পরিবার। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার উপজেলার পৌরসদরের দক্ষিণ জলদী ৯নং ওয়ার্ডের লোকনাথ মন্দিরে উৎসব দেখতে যায় একই এলাকার বিধান দত্তের কন্যা সীমা দত্ত(১৩)। এ সময় তার সাথে ছিল তার বান্ধবীরা। তারা উৎসব শেষে পার্শ্ববর্তী আরেক মন্দির চিন্তাহারী সাধনপীঠে বিভিন্ন প্রতিমা দেখতে যায়। সেখানেই পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকে পৌরসদরের চার বখাটে। এ সময় বান্ধবীদের সামনেই বখাটের দল সীমাকে মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের পাদদেশে নিয়ে জোর পূর্বক গণধর্ষন চালায়। ধর্ষনের এক পর্যায়ে সীমার আত্মচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটের দল মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী সীমাকে উদ্ধার করে বাড়ীতে পৌছে দেয়। সেখানে ২৪ ঘন্টা পর সীমার শারীরিক যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেলে তার পিতা-মাতা বিষয়টি লক্ষ্য করে। পরে জিজ্ঞেস করলে মেয়ে তাদের কাছে সবকিছু খুলে বলে। সীমার মা-বাবা উপায়ন্তর না দেখে স্থানীয় কমিশনার বাবলা কুমার দাশকে সাথে নিয়ে বাঁশখালী থানায় ঘটনাটি অবহিত করেন। থানা পুলিশ সোমবার দুপুরে সীমাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে সীমাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।