অস্তিত্ব রক্ষা
জামাল উদ্দীন
বাংলার পরিবেশ বদলে গেছে ,
হারিয়ে গেছে ঘোড়ার গাড়ি ।
গাছপালা বন সব উজাড় করে ,
স্বপ্ন কেন পাকা বাড়ি?
শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল ,
বৎসরে একবার ক’জনে দেখে ।
এখন যে ফুল দেশে এতই বিরল ,
লাভ কি হবে তারে জাতীয় রেখে।
এইভাবে আর চলবে না ,
নতুনরা এদের চিনবেও না ,
চলনা সবাই মিলে ভাবি একবার,
কি ভাবে শাপলাকে বাঁচাতে পারি ।।
গরম ভাতে ভাজা ইলিশের স্বাদ ,
সারা বৎসরে বল ক’জনে পেল ।
পদ্মার ইয়া-বড় রূপালি ইলিশ,
ঝাটকার টংজালে আটকে গেল।
এই ভাবে আর চলবে না,
নতুরা ইলিশ চিনবেও না।
চলনা সবাই মিলে হাতে রাখি হাত,
ঝাটকা খাব না আর শপথ করি।।
গাছপালা পাখিদের কল-কাকলি,
চাঁদনী রাতে গাছে ডাকত হুতুম ।
আজকে ওসব কোথা হারিয়ে গেছে,
কলের গাড়ির ডাকে ভেঙ্গে যায় ঘুম ।
কোকিলরা কি আর গাইবে না ,
নতুনরা এদের চিনবেও না ।
চলনা সবাই মিলে ভাবি একবার ,
কি ভাবে শান্তিতে ঘুমাতে পারি ।।
আঁধার রাতে ঐ বাঁশের ঝাড়ে,
জোনাকির ঝিকিমিকি বিজলি আলো।
আজকের বন হারা বাংলাদেশে,
ঝাড়-বাতির মাঝে হারিয়ে গেল।
জোনাকরা কি আর জ্বলবে না,
নতুনরা এদের চিনবেও না ।
চলনা সবাই মিলে ভাবি একবার,
কি ভাবে প্রকৃতি বাঁচিতে পারি ।।
গাছ, বাঁশ আর মাছে যতেষ্ট লাভ,
বাংলার ভাইদের কি করে বুঝাই?
সহজ ভাবে যদি বুঝেই থাকি,
একটি করে সবে চারা লাগাই।
অকারণে গাছ কাটব না,
অপুষ্টিতে আর ভোগব না।
চলনা সবাই মিলে গাছ লাগিয়ে,
সবুজ শ্যামল এক পৃথিবী গড়ি।