জমে উঠেছে রামদাশ মুন্সির গরুর হাট

বাঁশখালী টাইমস: ক্রমেই জমে উঠতে শুরু করেছে বাঁশখালী ( Banshkhali ) পশুর হাটগুলো। বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন হাট বসে। কোনোটা রবি ও বৃহস্পতিবার আবার কোনোটা সোম ও শুক্রবার।

বাঁশখালীর রামদাশ মুন্সির হাট গরুর বাজার সবচেয়ে বিখ্যাত। রবি ও বৃহস্পতিবার এই হাটে পশু বিক্রেতা, ক্রেতা ও দালালদের ভিড় বেড়ে যায়।

প্রায় দুই কিলোমিটার ব্যাপী এই হাট ইতিমধ্যে বেশ জমে উঠেছে। গত রবিবারও এই হাটে বেশ পশু ও লোক সমাগম দেখা যায়। এখনই কেনার সিদ্ধান্ত না নিলেও হাটের অবস্থা, গরুর বাজারদর বুঝতে আসছেন অনেকে। তাদেরই একজন আবদুল মান্নান। এসেছেন কালিপুর থেকে। সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত সৌখিন এই ভদ্রলোক জানান, “আজকেই গরু কিনে ফেলব এমন নিয়ত করে বাড়ি থেকে বের হইনি। তবে ভালো লাগলে কিনেও ফেলতে পারি।”

তবে রামদাশ মুন্সির হাট জমে ওঠার সাথে-সাথে গুনাগরী হতে সদর আমিন হাট পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, যেটা প্রতিবছর হয়। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই।

বাঁশখালী ( Banshkhali ) উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলাচলের এক মাত্র এই কালিপুর ইউনিয়নের গুনাগরী চৌমুহনী চৌ-রাস্তার মোড় এবং জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রামদাশ মুন্সির হাট। বৃহস্পতিবার ও রবিবার এলে প্রতিনিয়তে যানজট লেগেই থাকে। গুনাগরী হতে রামদাশ মুন্সির হাট পর্যন্ত এই যানজটের কথা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বহুবার লেখালেখি হয়েছে, এতে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো দৃষ্টি না থাকায় এই যানজট আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। গুনাগরী চৌমুহনীর প্রধান সড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে হকারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা দখল করে নিয়েছে। ফলে এই যানজট কমে না।

স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ ভুক্তভোগী যাত্রীরা এই দু্র্ভোগের সুরাহা চায়।

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *