তাফহীমুল ইসলাম (বাঁশখালী টাইমস)- বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিভিন্ন সময় একাধিকবার দেশে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত চালু থাকার কথা বললেও তাঁর বক্তব্যের সাথে বাঁশখালীর বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বাঁশখালীতে বর্ষাকালীন সময়ে বৃষ্টির অজুহাতে ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ। বর্ষাকাল পরবর্তী সময়েও গাছ কাটা, কেবি বসানোসহ নানান অজুহাত এনে বিদ্যুত অফিসের কর্মকর্তারা বাঁশখালীবাসীকে বিদ্যুত সেবা থেকে বঞ্চিত রাখে ঘন্টার পর ঘন্টা। এতে জনগণ যেমন ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছে তেমনি বিদ্যুত নির্ভর ব্যবসায়ীরা পোহাচ্ছে দুর্ভোগ। গতকাল রাতে হঠাৎ করে বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুত অফিস থেকে ঘোষণা আসে- আগামীকাল (০৩.১১.২০১৮) তারিখে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত বিদ্যুত থাকবে না। এর আগেও মাসের কম সময় আগেও একই অযুহাতে বাঁশখালীতে বিদ্যুত বন্ধ ছিল প্রায় অর্ধদিন। গত বৃহস্পতিবারে শুরু হয়েছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। তাদের লেখাপড়ার সার্বিক দিক বিবেচনা করে যখন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত চালু রাখা দরকার। তখনই বিদ্যুত বন্ধ করে তাদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটানো হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ- বিদ্যুত অফিসের দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তারা জনগনের বিদ্যুত বন্ধ করে তা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বরফ মিলসহ বিভিন্ন কলকারখানায় সরবরাহ করে। জনগনের সাথে বাঁশখালীর বিদ্যুত অফিসের খেলা নিয়ে বাঁশখালীর সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাঁটগামী তার টাইমলাইনে লিখেছেন- “গাছ কাটা, বাঁশ কাটা কিংবা কেবি ঠিক করার নামে দুই দিন পর পর বিদ্যুত বন্ধ রাখার তীব্র প্রতিবাদ করা দরকার”। আসলেই এই দুর্নীতি বন্ধ করা সময়ের দাবি। বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুত অফিসের এই প্রতারণা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
