মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: বাঁশখালী উপজেলার সর্বদক্ষিনে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্টান ছনুয়া কাদেরিয়া উচ বিদ্যালয়ের স্কুল মাঠ দখল করে বহুতল ভবন নির্মানর প্রতিবাদে স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষােভ প্রদর্শন করেছে। তারা বিদ্যালয়ের মাঠ রক্ষাসহ বিদ্যালয়ের নানা অনিয়মর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাশঁখালী উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বরাবরে অভিযাগ দাখিল করেছে । উপজলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ থেকে বিরত হলেও তারা বিদ্যালয়ের মাঠের সকল অব্যবস্থাপনা উচ্ছেদ করে খেলাধুলার পরিবশ সৃষ্টি করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
জানা যায়, বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দাতারা বিদ্যালয় স্থাপনের পাশাপাশি বিশাল ভূমি দান করেন খেলারমাঠ বিদ্যালয়ের অবকাঠামাের নানা ধরনের ভবন নির্মানের জন্য। কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত ও খেলার মাঠ দখল করে মাঠের পশ্চিম পার্শ্বে নানা ধরনের বহুতল ভবন নির্মাণ করে দিনদিন স্কুলের মাঠটি গ্রাস করেছে।
গতকাল পূর্বের দখলকৃত দােকান ভেঙ্গে নতুন করে বহুতল ভবন করতে গেলে তারা বিক্ষােভ ফেটে পড়ে ।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের অভিযাগকারী বিদ্যালয় অভিবাবক কমিটির সদস্য ডাঃ নোমান চৌধুরী ও ছাত্র জাকের হােছাইন, বােরহান উদ্দিন, মা: হুমায়ুন কবির, ইয়াছিন আরাফাত, সাজ্জাদ হােছাইনসহ বেশ কয়েকজন ছাত্র ছাত্রী জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের মাঠটি দিন দিন নানান ভাবে গ্রাস করে নিচ্ছে। মাঠের দক্ষিণ ও পূর্ব পার্শ্বে মাটি কাটা মাছের ঘর করেছে। যেভাবে নতুন নতুন বহুতল ভবন করেছে তাতে আমাদের মাঠটি আর থাকবে না। বিশাল এই স্কুলের জায়গায় কোনও ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্কুল কতৃপক্ষ প্রতি হাত জায়গা ২০ টাকা সেলামীতে দােকান করে নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা সুবিধা নিচ্ছে একটা প্রবাভশালী কু-চক্রীমহল ।
অভিযোগ প্রসংঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ হােছাইন শরীফি বলেন, এটা কিছু লােকের রাজনীতি । পূর্ব থেকে যেভাবে স্কুলের দোকান অধীনে ভবন ও দোকান গুলো আছে আমি সেই ভাবে করার জন্য অনুমতি দিয়েছি । নতুন করে জায়গা দখলের কোনও প্রশ্নেই আসে না।
উক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, আমি ৮ বছর যাবৎ সভাপতির দায়িত্বে আছি। এটা আগে থেকে দখলে নেওয়া হয়েছে। আমার ৮ বছরে কাউকে স্কুলের মাঠ দখল করে দোকান স্থাপনের সুযোগ দিই নাই।
নতুন করে দখলের ব্যাপার আমি অবগত নই।
ছনুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জিল্লুল করিম শরীফি বলেন, আমি নিজে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষৎ চিন্তা করে বাশঁখালী উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে অভিযোগ দাখিল করেছি। বিদ্যালয়ের মাঠটি দখলমুক্ত করা গেলে ভবিষৎ এই মাঠটি বাঁশখালীর একটি সর্ববৃহৎ মাঠ হিসেবে থাকবে। আমি এই মাঠটি বাঁশখালীতে একটি স্টেটেডিয়াম করার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দরখাস্ত প্রধান করেছি।
ছনুয়া ইউনিয়নর চেয়ারম্যান এম. হারুনুর রশিদ বলন, ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠটি এই এলাকার একমাত্র ক্রীড়াঙ্গন। এটা যদি নানা কারণে দখল হয়ে যায় তাহলে আমার এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হব। তাই আমি এই মাঠকে দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনর কঠার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এই ব্যাপার বাঁশখালী উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা মােমেনা আক্তার বলন, ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দখলের অভিযাগ পেয়েছি। আমি আর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিলে কয়েক দিনের মধ্য সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক অবৈধ দখল অবশ্যই উচ্ছেদ করব। কাউকে কোনও অবস্থাতেই খেলার মাঠ দখল করত দেওয়া হবে না।
