মোঃ বেলাল উদ্দিন, ছনুয়া প্রতিনিধি
বাঁশখালী টাইমস: ছনুয়ায় চিংড়িঘেরে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে তাতে লবণ চাষ করতে শুরু করল চাষীরা! ছনুয়াসহ পশ্চিম বাঁশখালীর ( Banshkhali ) মৎস্য ঘেরগুলো লণ্ডভণ্ড করে দেয় ঘূর্ণিঝড় রোয়ানো। এতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হয় ঘেরের মালিকেরা। এ যেন চীনের দুঃখ হোয়াংহো,আর বাঁশখালীর ( Banshkhali ) দুঃখ করালগ্রাসী বঙ্গোপসাগর! একটা বেঁড়িবাধই বদলে দিতে পারে পশ্চিম বাঁশখালীর ( Banshkhali ) উপকূলীয় মানুষের জীবনযাপন। পশ্চিম বাঁশখালীর ( Banshkhali ) মানুষের আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। তারা অনেক কষ্টে কঠিনতর জীবনযাপন করছে। প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় তাদের জীবনে মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিবছরই কোনো না কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে পড়তে হয় তাদের।
এদিকে চলতি বছরের মে মাসে সংঘটিত রোয়ানোতে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ঘের মালিকেরা ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করার জন্য তারা লবণ উৎপাদনের কাজ শুরু করেছেন।
ছনুয়ার মৎস্য ঘের মালিক আরিফুল্লাহ বাঁশখালী ( Banshkhali ) টাইমসের সাথে আলাপকালে বলেন, চিংড়ি ঘেরে প্রচুর লোকসান গুনতে হয়েছে। জীবনকে নতুন আঙ্গিতে সাজাবার জন্য চিংড়ি ঘেরেই লবণ চাষ শুরু করেছি। উল্লেখ্য, দেশের মোট চাহিদার শতকরা ২৬ভাগ লবণ উৎপাদন হয় বাঁশখালীতে।
গত বছরের মতো যাতে লবণচাষীরা লবণের ন্যায্যমূল্য পায়, সেজন্য তারা চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) ( Banshkhali ) আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।