মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের খুদুকখালী আবদুল মজিদ পাড়া, আছতআলী বাড়ীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে একই পরিবারের ৩ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৩.৩০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে নেজিম উদ্দীন বাদশা,বনাছির উদ্দীন ও তার বোন সাজেদা বেগমের ছনের চাউনী বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত নাজিম উদ্দিন বাদশা জানান, পূর্ব থেকে একই এলাকার মৃত হাজী আমির হামজার পুত্র হাজী মাওলানা আবুল কাশেম, মৃত এরশাদ আলীর পুত্র মোহাম্মদ হোসাইন, মৃত আবুল হোসেনের পুত্র আনোয়ার হোছাইন ও আবু ছিদ্দিক এদের সাথে ধানী জমি ও লবণের মাঠ দখল নিয়ে আমাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। তারা আমাকে বেশ কয়েকটি মামলার আসামীও করেছে। তিনি আরো বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ওই মহল আমাদের বসতঘরে অগ্নিকান্ডের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে।
হাজী মাওলানা আবুল কাশেম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনীত ক্ষতিগ্রস্থদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি বৃদ্ধ এবং একজন আলেম, আমার সন্তান আলেম। আমরা মাদরাসা নিয়ে ব্যস্ত। এসব গর্হিত কাজে আমাদের কোন দূরতম সম্পর্ক নাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হেফাজুল করিম জানান, অগ্নিকান্ডের বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের আনীত অভিযোগ সত্য নয়। তারা প্রতিপক্ষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য নিজেদের বসতঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটাতে পারে। এমনকি আমি একজন স্থানীয় প্রতিনিধি হওয়া স্বত্বেও তারা বিষয়টি আমাকে জানায়নি।
ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ বলেন, আমি ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নেজাম ও নাছির ও তার বোনের মালিকাধীন ৩ টি পরিবারের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আনুমানিক রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে কি কারণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। আগুনে দুই পরিবারের প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের অার্থিকভাবে সহযোগীতা করা হবে।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার লিটন বৈষ্ণব বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই এলাকাবাসীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।