বাঁশখালী টাইমস: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো: রফিকুল আলমের সাথে আজ বাঁশখালী টাইমস পরিবারের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে।
আজ ২০ জানুয়ারি দুপুরে উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাতে বাঁশখালী টাইমসের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় সম্পাদক মাহবুব ছোবহান চৌধুরী।
এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি বাঁশখালী টাইমসের ৫ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে পোর্টালের সম্পাদক, পাঠকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান এবং বাঁশখালী টাইমসের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করেন৷
সৌজন্য সাক্ষাতে চুয়েটের সদ্য সমাপ্ত ও চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং নতুন নির্মিত দৃষ্টিনন্দন চুয়েট টিএসসি, একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলের আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে আলোকপাত করেন চুয়েট ভিসি।
এছাড়া চুয়েটে নির্মিতব্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রথম ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইকিউবেটর’ নিয়ে আশা ও উচ্ছ্বাসের কথা শোনান জনাব ড. রফিকুল আলম। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশের তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হতে পারে। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায়ও নতুন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে এটি। এই ইনকিউবেটরটিকে বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার নতুন আইসিটি হাবে পরিণত করার সকল উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি বাঁশখালী টাইমসকে জানান।
এইরূপ প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান নতুন নতুন আইডিয়া, উদ্ভাবন বা গবেষণালব্ধ ফলাফলকে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসে রূপান্তর ঘটানোর লক্ষ্যে প্রারম্ভিক সহায়তা প্রদান করা হবে এখানে, যার মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হবে।
পাহাড়বেষ্টিত অপরূপ সৌন্দর্যের চুয়েট ক্যাম্পাসকে পরিবেশবান্ধবভাবে আধুনিকায়ন ও চুয়েটে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার ক্ষেত্র প্রশস্ত করতে তাঁর নিরলস পরিশ্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম।
উল্লেখ্য ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা-গবেষণার একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আত্মপ্রকাশ করে। এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করে পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালের ১ জুলাই বিআইটি, চট্টগ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।