রাসেল চৌধুরী: রাজধানীসহ সারাদেশে বেড়েছে জ্বরের প্রকোপ। এর মধ্যে অনেকে চিকুনগুনিয়া ভাইসারে আক্রন্ত হয়েছেন। চিকুনগুনিয়া ভাইরাস ঘটিত একটি রোগ যা সংক্রমিত এডিস মশা দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে। এডিস এমন এক ধরণের মশা যা ঘরোয়া পাত্রে বংশ বিস্তার করে এবং দিনের বেলায় কামড়ায়। এই চিকুনগুনিয়া ‘টোগাভিরিড’ পরিবারভুক্ত ‘আলফাভেরাস’ প্রজাতির ভাইরাস ঘটিত একটি রোগ।
চিকুনগুনিয়া রোগের লক্ষনগুলো হল :
জ্বরের সূত্রপাত সঙ্গে গাঁটের ব্যথা হল চিকুনগুনিয়ার প্রাথমিক উপসর্গ। অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে পড়ে :
• পেশীর যন্ত্রণা।
• ক্লান্তি ও বমিবমি ভাব।
• শরীরে র্যাশ উঠা।
• ক্লান্তিদায়ক গাঁটের কাধ ও কোমরে ব্যথা হওয়া।
চিকিৎসা :
চিকুনগুনিয়া নিরাময়ের নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই।
• বেদনানাশক ঔষধ (পেইন কিলার) : প্যারাসিটামল, আইবুপ্রফেন ধরনের ওষুধ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
• আসিক্লোভির জাতীয় ভাইরাস-প্রতিরোধক ওষুধ দেওয়া হয় (তবে, একমাত্র জটিল অবস্থায় ডাক্তারবাবু এই ধরণের ওষুধ খেতে বলেন)
• প্রচুর পরিমানে তরল/পানীয় ধরণের খাবার খাওয়া প্রয়োজন, যাতে শরীরে জলযোজন প্রক্রিয়া ঠিকঠাক চলে।
• গিটে গিটে ব্যাথা দূর করতে ফিজিওথেরাপিস্ট দেখাতে হবে।
প্রতিকার :
চিকুনগুনিয়ার নির্দিষ্ট কোনো টীকা (ভ্যাকসিন) নেই।
মশা বাহিত অন্য যেকোনো ভাইরাস ঘটিত রোগের মতো (উদাহরণ: ডেঙ্গু) এরও প্রতিরোধ-প্রক্রিয়া একই এবং সেগুলোর মধ্যে পড়ে :
• কীট-পতঙ্গ বিতাড়ক দ্রব্যের ব্যবহার
• মশারির ভিতর ঘুমোনো
• বাইরে বেরোনোর সময় ফুল হাতা জামা ও লম্বা পাজামা পরে বেরোনো ও পোশাকে ডি ই ই টি-সমৃদ্ধ মশা তাড়ানোর তরল ছড়িয়ে নেওয়া, বিশেষত: চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত জায়গায় যাওয়ার আগে।
• মশার বংশ-বিস্তার কমাতে জলের পাত্র ঢাকা দিয়ে রাখা ।
সবাইকে সচেতন করার মধ্যে দিয়ে আমরা অনেকাংশেই চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ করতে পারি।