চাম্বল বাজারে ঔষধের পাইকারী ও খুচরা দোকানে নকল ও ভেজাল বিক্রির অভিযোগে ৩টি ঔষধের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভেজাল ও নকল ঔষধ বিক্রির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকারী ভ্রাম্যমান আদালতের কর্মকর্তারা ভেজাল ঔষধ বিক্রির দায়ে ৩টি দোকানকে ৭৯ হাজার টাকা জরিমানা ও ২ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর নকল ঔষধ উদ্ধার করে ধ্বংস করেন।
এ সময় চাম্বল বাজারের ১২টি ঔষধের দোকান তালাবদ্ধ করে ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল বশিরুল ইসলাম, ঔষধ প্রশাসন তত্ত্বাবধায়ক চট্টগ্রাম এর সুপারিনটেনডেন্ট মো. কামরুল হাসান ও একদল থানা পুলিশ।
চাম্বল বাজারে আবুল কাশেমের ছেলে নাছির উদ্দিন মালিকানাধীন মেসার্স শাহ মজিদিয়া ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা, লাতু মিয়ার ছেলে নুর হোসেন মালিকানাধীন এলাহী ফার্মেসী ৪ হাজার টাকা, মো. ফেরদৌসের ছেলে নুরুল আবছার মালিকানাধীন কুতুব ফার্মেসি থেকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। একইসাথে অভিযানকারী দল ৩টি ঔষধের দোকান থেকে ২ লক্ষ টাকা মূল্যের বিভিন্ন নকল ও ভেজাল ঔষধ উদ্ধার করে পুড়িয়ে ধ্বংস করেন।
বাঁশখালী ঔষধ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ছমুদুল হক বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তারা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেছেন। ২ লাখ টাকা মূল্যের ঔষধ ধ্বংস করেছেন, জরিমানাও করা হয়েছে। ’
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনা আক্তার বলেন, ‘বাঁশখালীতে ভেজাল বিরোধী অভিযান হিসেবে চাম্বল বাজারে পাইকারী ও খুচরা ৩ দোকানে অভিযান চালিয়ে ৭৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও ২ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের নকল ঔষধ দোকানের গুদাম থেকে উদ্ধার করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।’
দৈনিক পূর্বকোণ