মিজান বিন তাহের: বাঁশখালীতে পানি চলাচলের ড্রেন দখল করে মাছের খামার নির্মাণ করায় পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়ে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরম আকারে পৌঁছেছে। উপজেলার পশ্চিম চাম্বল মুন্সিখীল গ্রামের এ ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, পশ্চিম চাম্বল এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি মাহামুদুল ইসলাম জনসাধারণের চলাচল রাস্তার পাশে পানি নিস্কাশনের ড্রেন বন্ধ করে তথায় মাছের খামার গড়ে তোলে। এলাকাবাসীর অভিযোগ পানি নিস্কাশনের ড্রেন বন্ধ করে দেওয়ায় বর্ষা আসলেই পাহাড়ি ঢল ও জ্বলোচ্ছাসের ফলে প্লাবিত হয়ে যায় পুরো গ্রাম। চলাচল রাস্তায় হাটু পরিমাণ পানি জমে গেলে এলাকার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ জনসাধারণের চলাচলে করুণ আকার ধারণ করে।
স্থানীয় সূত্রমতে, বিগত কয়েকদিন আগে বৃষ্টির পানিতে এ গ্রামের প্রায় ১০টি ছোট-বড় পুকুর, রাস্তাঘাট, করবস্থানসহ বাঁশখালীর বড় হুজুর পীরে কামেল মরহুম মাওলানা শফিকুর রহমান সাহেবের কবর ডুবে গেলে পানি নিস্কাশনের ড্রেন খুলে দেওয়ার স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানায়।
গ্রামবাসীরা ওই মাছের খামারের মালিক মাহামুদুল ইসলামকে পানি চলাচলের ড্রেন খুলে দিতে বললে স্থানীয় গ্রামবাসীর সাথে সে বাকবিতন্ডা জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে যায়। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে ওই খামার মালিক স্থানীয় গ্রামবাসী জাফর উল্লাহ সহ ৮ জনকে আসামী করে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি স্থানীয় গ্রামবাসী আমাকে অবগত করলে মাছের খামারের মালিক মাহামুদুল ইসলামকে আমি পানি চলাচলের ড্রেন খুলে দেওয়ার জন্য বলেছি। কিন্তু ওই খামার ব্যবসায়ী আমার কথা না শুনে উল্টো এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসী মাছের খামার মাহামুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।