
মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল গ্রামে একটি মুরগির খামারে গত রাত ২.৩০ মিনিটের দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ঘরসহ দুই হাজার পোল্ট্রি মুরগি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ অগ্নিকান্ডে অন্তত ১০-১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে ।
জানা যায়, উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পূর্ব চাম্বল জিন্নাত আলী তালুকদার পাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের স্ত্রী শানে আরা বেগমের মালিকানাধীন মুরগির খামারে সোমবার গভীর রাতে রহস্যজনকভাবে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৪০ শতক জমির ওপর বিভিন্ন রকমের বাগানের সঙ্গে খামারটি জনবসতি থেকে দূরে অবস্থিত হওয়ায় লোকজন যাওয়ার আগেই মুরগিসহ খামারটি একটি শেডে সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে দ্রুত এগিয়ে এলেও পাশ্বর্বতী কোন পুকুর না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সম্ভব হয়নি। যার ফলেই আগুনে পুড়ে ওই শেডের ২ হাজার মুরগি পুড়ে মারা গেছে।
মুরগির খামারের মালিক মৃত আব্দুর রহিমের ছোট ভাই নুরুল আলম জানান, খামারটি বহু বছর যাবৎ আমার বড় ভাই করতেন, তিনি গত ৬-৭ মাস আগে মারা যান, তার মৃত্যুর পরে থেকে ওনার স্ত্রী এই খামারটি দেখাশুনা করতেন।
খামারটি আমাদের বাড়ির পার্শ্ববতী জনবসতি থেকে কিছুটা দূরে হলেও এই একটি শেডে ২ হাজার পোল্টি মুরগি পালন করেন তিনি। মঙ্গলবার রাত ২.৩০ মিনিটের দিকে কে বা কারা এই খামারটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় । ধারনা করা হচ্ছে কেউ না কেউ এই খামারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
প্রতিবেশীরা টের পেয়ে দ্রুত এগিয়ে আসলেও আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সম্পূর্ণ ওই শেডের সব মুরগি পুড়ে মারা গেছে। এতে তার অন্তত ১০-১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন বৈষ্ণব জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার খবর আমাদের কে কেউ জানায় নি, তবে পরবর্তীতে শুনেছি। হয়তো তাৎক্ষনিক ভাবে খবর পেলে আমরা এগিয়ে যেতে পারতাম।
চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, খামারে আগুন লেগে সব মুরগি পুড়ে গেছে বলে শুনেছি, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক।