BanshkhaliTimes

চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে রিট, চিকিৎসা না দিলেই ব্যবস্থা

BanshkhaliTimes

বাঁশখালী টাইমস প্রতিবেদন: এবার করোনা ভাইরাসে চিকিৎসাবঞ্চিত চট্টগ্রামবাসীর দুর্দশায় এগিয়ে এলেন বাঁশখালীর কৃতিসন্তান সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজীম দোলন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের নিরবচ্ছিন, কার্যকর ও ইতিবাচক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের ১২টি বেসরকারি হাসপাতালে আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে চট্টগ্রামে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও মেডিকেল কলেজগুলোয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত কতজন রোগীকে কী ধরনের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে, তা জানিয়ে প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনকে এ বিষয়ে ২২ জুনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন রোগীদের দ্রুত কার্যকর ও পর্যাপ্ত চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ১০ জুন ই-মেইলের মাধ্যমে ওই রিটটি আদালতে জমা দেন। দুই আইনজীবী হলেন মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. আজিজুল হক। আদালতে রিটের পক্ষে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে শুনানি করেন আইনজীবী হাসান এম এস আজীম, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ বাকির উদ্দিন ভূইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

আদেশের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী হাসান এম এস আজীম বলেন, গত ৪ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের নিরবচ্ছিন্ন ও কার্যকর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত আইসিইউ বেড ও ভেন্টিলেটর–সুবিধাসংবলিত চট্টগ্রামের ১২টি বেসরকারি হাসপাতালে আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসা ও সেবা চালু করতে অনুরোধ জানানো হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখে চট্টগ্রামের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী রিটটি করেন। শুনানি নিয়ে আদালত ওই আদেশ দেন।
চট্টগ্রামের ১২টি হাসপাতাল হচ্ছে, পাঁচলাইশের পার্ক ভিউ হাসপাতাল লিমিডেট, ডেলটা হাসপাতাল লিমিটেড ও সিএসটিসি হাসপাতাল লিমিটেড; জিইসিতে অবস্থিত মেডিকেল সেন্টার; খুলশীর ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল; কাতালগঞ্জের সার্জিস্কোপ হাসপাতাল লিমিটেড (ইউনিট-২); ওআর নিজাম রোডের সিএসসিআর হাসপাতাল লিমিটেড, এশিয়ান হাসপাতাল লিমিটেড, ওয়েল হাসপাতাল লিমিটেড ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল লিমিটেড; মেহেদীবাগের ন্যাশনাল হাসপাতাল লিমিটেড ও ম্যাক্স হাসপাতাল লিমিটেড।

এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার দোলন বাঁশখালী টাইমসকে বলেন- ‘এই রিটের প্রেক্ষিতে চিকিৎসাবঞ্চিত কেউ অভিযোগ করলে অভিযুক্ত হাসপাতালকে চিকিৎসা প্রদানে বাধ্য, জেল-জরিমানাসহ লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে। তিনি আরও বলেন- চট্টগ্রামের মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেনা, আইনজীবী হিসেবে এই বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

 

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *