বাঁশখালী টাইমস: গন্ডামারার খাটখালী নিজেই ঘাটখালি! ঘাট যেটা আছে সেটা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গন্ডামারা ইউনিয়নের কুতুবদিয়া-বাঁশখালী যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম খাটখালী ঘাট। এক সময় নৌকা যোগে সকল ধরনের মালামাল পারাপার এই ঘাট দিয়ে করা হতো।
তাছাড়া কুতুবদিয়া সোনাদিয়া থেকে শুরু করে সাগরের অধিকাংশ এলাকায় এই ঘাট দিয়ে পার হওয়ার পর জনগণ তাদের কাঙ্খিত স্থানে যেত। এই ঘাটটি “খাটখালী ঘাট” নামে পরিচিত। এই এলাকার লোকজন এই ঘাট পারাপারে টোল দিয়ে পার হলেও অজ্ঞাত কারণে ঘাটটি সংস্কার করা হচ্ছে না। ফলে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনগণকে। এই খাটখালিকে মিনিপোর্ট করার কথা প্রায় নেতাদের মুখে শোনা যায়। এটাকে মিনিপোর্ট বানাতে পারলে কোটি-কোটি টাকা আয় হবে এবং বহুলোকের কর্মসংস্থান হবে বলে তারা প্রচার করেন। কিন্তু খাটখালির এই ভাঙ্গা ঘাটটি পর্যন্ত সংস্কারের প্রয়োজন অনুভব করেন না এইসব নেতারা! লোকজনের মৃত্যুঝুঁকি ও ভোগান্তি যেন তাদের চোখে পড়ে না!
চলতি বছর এই ঘাট ইজারা বাবদ গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদ ১ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা আদায় করলেও জনগণ পারাপারে কার্যত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এই ঘাট দিয়ে প্রতিজন উঠা নামা ৫ টাকা এবং মালামাল উঠানামাকালে সুনির্দিষ্ট হারে টোল দিতে হয়।
কিন্তু টোল দিয়ে পারাপার করেও বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারে অনেক সময় দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়।
গন্ডামারার ঐতিহ্যবাহী এই খাটখালী ঘাটটি সংস্কারপূর্বক পূর্বের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তারা আশ্বাসের মরীচিকায় আর ডুবতে চায় না।