মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: বাঁশখালী উপজেলার গন্ডমারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা এলাকায় ৮নং ওয়ার্ডের বদিউজ্জমানের কন্যা, পূর্ব বড়ঘোনা দারুল হিকমা মাদরাসার ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া শাহিদা আক্তার (ছদ্মনাম) এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে পার্শ্ববর্তী ওই এলাকার নজরুল ইসলাম ও গন্ডামারা ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের বতর্মান মহিলা ইউপি সদস্য কহিনুর আক্তারের পুত্র কামরুল ইসলাম জোনাইদ (২০)।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার ইউপি সদস্যের ছেলে জোনাইদ বিভিন্ন সময়ে মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে কৌশলে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ২৮ নভেম্বর বিকেলে ধর্ষিতার বসতঘরের পশ্চিম পার্শ্বে মাটির দেওয়াল ও টিনের চাউনীযুক্ত টয়লেটের ভিতরে পুণরায় শারীরিক মিলনের নামে ধর্ষণ করে। ওই সময় মেয়ের মা টয়লেট গেলে দরজা বন্ধ দেখে ধাক্কা দিলে মুহূর্তেই ধর্ষক জোনাইদ দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে জিজ্ঞাসা করলে মেয়ে বিস্তারিত ঘটনার বর্ণনা প্রদান করে। পরবর্তীতে বিষয়টি মেয়ের পরিবার ছেলের পরিবারকে জানালে তারা কোনও ধরনের উদ্যোগ গ্রহন না করে বিভিন্ন প্রকারের ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। বর্তমানে তারা প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে আছে।
এ বিষয়ে মুটোফোনে জানতে চাওয়া হলে ধর্ষকের মা ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য কহিনুর আক্তার বলেন, এটা আমার ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। ধর্ষিতা ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে ঠিক, তো আমি কী করব, তাই বলে কি আমার ছেলেকে বিয়ে করতে হবে নাকি! হয়তো অন্য কারো সাথে অবৈধ মেলামেশা করে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে।
গন্ডামারা ইউপির ((ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মো. আলী হায়দার চৌধুরী আসিফ জানান, ‘ঘটনার বিষয়টি মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে অবহিত করেছে। তবে এ ঘটনাটি একটি আমলযোগ্য অপরাধ, এটা ইউনিয়ন পরিষদের এখতিয়ার বহি:র্ভূত বিষয় নয় বিধায় তাদের বিচার প্রার্থনার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করার পরামর্শ দিই।