মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: চট্টগ্রামের-কক্সবাজারের বিকল্প প্রধান একমাত্র প্রধান আনোয়ারা-বাঁশখালী পিএবি প্রধান সড়কে সম্প্রসারণ কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। তবে এই বিকল্প সড়ক সম্প্রসারণ এর কাজ শুরু করলেও প্রধানসড়ক থেকে সু নিদিষ্ট ভাবে দোকান-মার্কেটের ঢালা ও বিদ্যুৎতের খুঁটি গুলো সহ অবৈধ স্থাপনা না সরালে সুফল পাবে না জনগন । বাঁশখালীর প্রধান সড়কের সাথে অধিকাংশ দোকান পাটের মালামাল রাস্তার উপর রাখে ব্যবসায়ীরা।ফলে একমাত্র প্রধান সড়কের উপর গাড়ি রাখতে গিয়ে স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনগণের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। বাঁশখালীর প্রধান সড়ক সংস্কার এর পাশাপাশি অবৈধস্থাপনা দোকান-পাট উচ্ছেদ ও পল্লীবিদ্যুৎতের খুঁটি গুলো সুনিদিষ্ট দুরত্বে সরানো এখন জনদাবীতে পরিণত হয়েছে ।গত (২১ মার্চ) বুধবার দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় বাঁশখালীর প্রধান প্রধান সড়কের সম্প্রসারণ সহ ৪ টি কালভার্ট নির্মানের কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।
সওজ সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালীর যেসব বাজারে প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হয় ও প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা সংঘটিত যে সব স্থানে রাস্তাটি বাঁকা হয় সেসব স্থানের মধ্যে রাস্তার দুই পার্শ্বেই তিন ফুট বৃদ্ধি করে রাস্তা প্রশস্থ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে বাঁশখালীর শুরু পুকুরিয়া ইউপির চাঁদপুর বাজারের চাঁদপুর ও চন্দ্রপুর পাহাড়ের মোড়, বৈলগাঁও মসজিদের মোড়, বানীগ্রাম বাজারের দক্ষিণে পুর্ব বৈলগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খাদি মুড়ার মোড়, সাধনপুর ইউপির বানীগ্রাম স্কুলের দক্ষিণ পার্শ্বে ব্রাহ্মণপাড়ার টেক ও চারা বটতল এলাকার টেকগুলো সোজা করা হবে এবং পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার,সাধনপুর ইউপির বানীগ্রাম বাজার, কালীপুর ইউনিয়নের গুনাগরি, রামদাস মুন্সীর হাট ও সাহেবের হাট, বৈলছড়ি ইউনিয়নের কে,বি,বাজার ও হাবিবের দোকান, পৌরসভার জলদীমিয়ার বাজার,উপজেলা সদর, দারোগা বাজার,শীলকূপ ইউনিয়নের টাইমবাজার, চাম্বল ইউনিয়নের চাম্বল বাজার,পুইছুড়ি ইউপির নাপোড়া বাজার ও প্রেম বাজারের দুই পার্শ্বে তিন ফুট করে প্রধান সড়কটি ১৮ ফুট থেকে ২৪ ফুট চওড়া করে বড় করার কথা রয়েছে। তাছাড়া সাধনপুর ইউনিয়নের বানীগ্রামে ২টি ও চাম্বল বাজারে দক্ষিণে ব্রীজ সহ ২টি মোট ৪ টি নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে এবং যথাসময়ে বাঁশখালী প্রধান সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হবে বলে জানান চট্টগ্রাম দোহাজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফাইল মিয়া।
তবে অন্য দিকে প্রধান সড়কটি ১৮ ফুট থেকে ২৪ ফুট চওড়া করে বড় করা হলে ও রাস্তার দুই পার্শ্বে পল্লীবিদ্যুতের অপরিকল্পিত খুঁটি গুলোর কারনে রাস্তা সম্প্রসারণ কাজে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে।
খুঁটি গুলো যদি রাস্তার দুই পাশ থেকে সরানো না হয়, তা দিয়ে কোন কাজে আসবেনা বলে মনে করেন সাধারন জনগন। তবে আপাতত বিদ্যুৎতের খুঁটি গুলো সরানোর কোন পরিকল্পনা হাতে নেই বলে সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম (১৬)বাঁশখালী আসনের সংসদ সদস্য অর্থ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়েরস্হায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন,প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ বাঁশখালীবাসী উন্নয়নের ছোয়া থেকে বঞ্চিত ছিল। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অধিকাংশ কাজ পরিচালনা করে আসছি,চলতি শুষ্ক মৌসুমে ক্রমানয়ে সব গুলো গ্রামীণ রাস্তার কাজ শুরুহবে। বর্তমান সরকারের আমলে বাঁশখালীতে বেশ কিছু উন্নয়ন কার্মকান্ড পরিচালিত হয়েছে। গ্রামীন ৩০ টিরও অধিক সড়ক সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে কর্য়ক্রম গ্রহন করা হয়েছে। যা বর্তমানে কাজ গুলো প্রক্রিয়া দ্বীন । বাঁশখালীতে তাছাড়া প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে । বিদ্যুৎতের খুঁটি গুলো কিভাবে সরানো যায় তা নিয়ে শীঘ্রই বিদ্যুৎ মন্ত্রনালয়ের সাথে কথা ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে। যাতে সড়কটি ব্যবহারে জনগন সুফল পাই। এই রাস্তাটি প্রশস্ত হয়ে গেলে চট্টগ্রাম থেকে বাঁশখালী হয়ে কক্সবাজার অনন্ত ৬৭ কি: মি: দূরত্ব কমে যাবে।যার ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ ও অার্থ-সমাজিক ব্যবস্হায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। বাঁশখালীবাসীর যোগাযোগের সুবিধার্থে সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।