বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় সাজার প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম আইন কলেজ শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সহ-সভাপতি মো: ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: আলমগীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম আইন কলেজ শাখার সাবেক আহ্বায়ক ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য জায়েদ বিন রশিদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রনেতা জায়েদ বিন রশিদ বলেন, আগামীতে এক তরফা নির্বাচন ও ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য দেশনেত্রী’র বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এ দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশনেত্রী অতীতে যেমন আপোষ করেননি এই অবৈধ সরকারের জুলুম-নির্যাতনের কাছেও মাথা নত করবেন না। বেগম খালেদা জিয়ার ইতিহাস নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইতিহাস। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল দেশনেত্রীকে মুক্ত না করে ঘরে ফিরে যাবে না। আগামীতে ছাত্রদল তার সর্বস্ব ত্যাগ করে দেশনেত্রীকে মুক্ত করে আনবেন। উক্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আইন কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সালাউদ্দিন কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম চৌধুরী, মির্জা ইকবাল, আবদুস সবুর, সরওয়ার কামাল, সাবেক এ.জি.এস প্রার্থী সাইফুদ্দিন হিরু, ফরিদ উদ্দিন, মো: ইব্রাহিম, মো: জিয়া, সাবেক এ.জি.এস প্রার্থী আতিকুর রহমান, বাঁশখালী পৌরসভা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো: ইউসুফ, খায়ের উদ্দিন, আবুল কাশেম, সাদেকা বেগম, মনির প্রমুখ। সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ডেস্টিনি, ইউনিপে-২, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, শেয়ার মার্কেটসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর হাজার হাজার কোটি টাকার দূর্নীতিকে আঁড়াল করতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। অতীতে যেমন ছাত্রদল আন্দোলন সংগ্রাম করে গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়েছিল। তেমনি আন্দোলনের মাধ্যমে এই দূর্নীতিবাজ সরকারকে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে বাধ্য করা হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সহায়ক সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদল রাজপথ দখলে রাখবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি